অশনির সতর্কতা জারি হওয়ার পর থেকে সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিঘা। সাইক্লোন ইয়াসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল দিঘার। পূর্ব মেদিনীপুরের এই পর্যটনস্থলে যে প্রভাব পড়েছিল, সেই আতঙ্ক এখনও ভুলতে পারেননি সেখানকার মানুষ।
সাইক্লোন যত কাছে এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। প্রবল গরমে স্বস্তি পেতে দিঘায় গিয়েছিলেন বহু পর্যঠক। কিন্তু, সমুদ্রের চেহারা ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠায় সমুদ্রে নামতে পারছেন না পর্যটকরা। এমনকি সৈকতেও যাতে কেউ না যান, সে ব্যাপারে সতর্ক করছে প্রশাসন।
জোর কদমে মাইকিং শুরু হয়েছে দিঘায়। সব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে দাবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের। মাইকিং করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্ক থাকতে সৈকত শহর ছাড়ছে পর্যটকরা।
কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, “আমরা দিঘায় এসেছি সমুদ্র স্নানের জন্য, কিন্তু সমুদ্র সৈকতে নামতে দিচ্ছে না পুলিশ। ওনারা আমাদের সচেতন করছেন বটে কিন্তু সমুদ্রের কাছে এসে সমুদ্রে না নামতে পারায় প্রচণ্ড আক্ষেপ।’
গত কয়েদিন ধরে দিঘায় পর্যটক থিক থিক করছে। বহু ক্ষেত্রে পর্যটকদের ঘরও জোটেনি। কিন্তু সৈকতের দিকে বিশেষ নজর রয়েছে প্রশাসনের। সমুদ্র বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন উপকূলের সমুদ্র পাড়ের বাসিন্দারা।
সোমবার দুপুরের পর থেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করেছে সমুদ্র উপকূলের আবহাওয়া। দিঘার আকাশ ছেয়ে গিয়েছে কালো মেঘে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র। সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে নামতে না পারেন তার জন্য পুলিশের তরফে লক্ষণ রেখা (দড়ি) দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন ঘাটে নজরদারি চলছে নুলিয়াদের। নজর রাখছে পুলিশও।
দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানস কুমার মণ্ডল জানান, সরকারি নির্দেশ মতো সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে নজর রাখা হচ্ছে দিঘার সৌন্দর্যের দিকে। তিনি জানান, পর্যটকদের দিঘা ছাড়ার ব্যাপারে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি, তবুও সচেতন থাকতে হবে। প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।”