নোটবন্দীর সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে বলে এই প্রথম মেনে নিল মোদী সরকার। সরকারের তরফে সংসদে জানানো হয়েছে, নোটবন্দীর ফলে ৩ জন ব্যাঙ্ককর্মী এবং ১ জন গ্রাহকের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নোটবন্দির সময় তাদের তিন জন কর্মী মারা গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছিল এক জন গ্রাহকের’।
সংসদে প্রশ্ন ছিল, নোটবন্দির সময়ে টাকা বদলাতে গিয়ে মানসিক অবসাদ, চাপ, আতঙ্কে কত জনের মৃত্যু হয়েছে সরকার কি জানে? ক’জন ব্যাঙ্ক কর্মীই বা মারা গিয়েছেন? সরকার তা জানলে যেন সংসদকে জানায়। জেটলি জানিয়েছেন, স্টেট ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এমন দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার কথা জানায়নি। স্টেট ব্যাঙ্কের তিন কর্মী ও মৃত গ্রাহকের পরিবারকে মোট ৪৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
যদিও জেটলির এই ব্যাখ্যা মানতে চাননি বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, নোটবন্দীর সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুর খবর এসেছিল। কোথাও এটিএমের লাইনে কোথাওবা ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন গ্রাহকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৪ জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে প্রকৃত তথ্য গোপন করছে কেন্দ্র সরকার।
প্রসঙ্গত, গতকালই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের মুখ্য অর্থনীতিক গীতা গোপীনাথ জানিয়েছেন, অবিবেচকের মতো নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। তার ফলে গড় জাতীয় উৎপাদন ২ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জেটলি এ দিন স্বীকার করে নেন, শিল্পক্ষেত্রে বা কর্মসংস্থানের উপর নোটবন্দির কী প্রভাব পড়েছে তা নিয়ে সরকার এখনও বিশদে কোনও সমীক্ষা চালায়নি। এরপরেই বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি সবটাই গিমিক? অর্থনীতির সঙ্গে এঁর কোনও সম্পর্ক নেই?