এবার গেরুয়াশিবিরের অস্বস্তি বাড়ালেন কর্ণাটকের প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক বাসনাগৌড়া পাতিল ইয়াটনাল। তিনি দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে রীতিমতো সরগরম দক্ষিণের রাজ্যটির রাজনীতি। কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যের প্রভাবশালী ওই বিধায়কের অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। বিজেপি বিধায়ক ইয়াটনাল দাবি করেছেন, দিল্লীর কিছু নেতা তাঁকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী করার বিনিময়ে আড়াই হাজার কোটি টাকা চেয়েছিলেন। ওই টাকা দিতে পারলেই অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের সঙ্গে তাঁর দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ওই বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য ছিল, “আপনি রাজনীতিতে অনেক চোরের দেখা পাবেন, যারা আপনাকে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেবে। দিল্লীতে নিয়ে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী বা জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেবে। এমনকী আমার কাছেও কিছু লোক এসে বলেছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা দিলে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দেবে। ওঁরা জানেই না আড়াই হাজার কোটি টাকা কতগুলো হয়। বাড়িতে রাখতে হয় না গুদামে?”
উল্লেখ্য, বছরখানেক আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে বিজেপি। রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ইয়েদুরাপ্পার বদলে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় বাসবরাজ বোম্মাইকে। সেসময় নাকি এই বাসনাগৌড়া পাতিল ইয়াটনালও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সবাইকে পিছনে ফেলে বোম্মাই মুখ্যমন্ত্রী হন। বাসনাগৌড়া পাতিলের বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বোম্মাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার নেপথ্যে টাকার খেলা কাজ করেছে? কংগ্রেস বলছে, বাসনাগৌড়া পাতিল ইয়াটনাল রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী বিধায়ক। আগামী দিনে তাঁর মন্ত্রী হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। তিনি যখন কোনও অভিযোগ করছেন, তখন সেটার তদন্ত হওয়া উচিত। তাছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত কর্ণাটক সরকারের আমলে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে অধ্যাপক, সব পদের জন্যই টাকা দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রিত্বই বা বাদ যাবে কেন? মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই বা বিজেপির বড় নেতারা এপ্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।