এর আগেই রাজ্যের চা-শ্রমিকদের বাসস্থানের সুবিধা নিশ্চিত করতে ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্প শুরু করে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের অধীন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের স্থায়ী চা শ্রমিকদের বাড়ি বানিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী শুরু হয় কাজ। আর এবার দুর্গাপুজোর আগেই অন্তত ১১০০ জন চা শ্রমিকের হাতে তাদের নিজের বাড়ির চাবি তুলে দিতে সমস্ত রকম চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে জোর কদমে। শ্রমদফতর ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই প্রকল্পের মূল কাজ করছে রাজ্য আবাসন দফতর। প্রত্যেক চা শ্রমিক পরিবারের জন্য মূলত ৩৯৪ বর্গফুট জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে এক একটি বাড়ি। এক একটি বাড়ি গড়তে রাজ্যের খরচ হচ্ছে প্রায় ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। একতলা এই বাড়িগুলিতে থাকবে দুটি করে ঘর, বসার ঘর, রান্নাঘর ও বাথরুম।
বাংলায় এই ধরনের প্রকল্প প্রথম। রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মতে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উত্তরবঙ্গ গিয়ে উপভক্তাদের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দিতে পারেন। যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে, চলতি বছরের দুর্গা পুজোর আগেই প্রায় ১১০০ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, মোট প্রায় চার হাজার বাড়ি তৈরি হবে। আলিপুরদুয়ারে হবে ২ হাজার ৬৪১ টি এবং জলপাইগুড়িতে তৈরি হবে ১ হাজার ৫৩ টি বাড়ি।মুজনাই, ধেক্লাপারা, তোর্সা, লঙ্কাপারা এবং ধরণিপুর সহ বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় এই প্রকল্পের অধীন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আবাসন দফতরের এক আধিকারিক জানান, এই প্রকল্পের জন্যেই আবাসন দফতরের এই বারে বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। প্রথম পর্যায়ে তৈরি হওয়া বাড়িগুলির উপভক্তাদের থেকে কিছু মাস পরেই নেওয়া হবে যে এখানে থাকতে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা। তাদের দেওয়া প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী পর্যায়ের কাজে কোনও পরিবর্তন আনা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।