ডামাডোল অব্যাহত গেরুয়া শিবিরে। এবারের স্থান বর্ধমান। জেলার যুব সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ শুরু হয় জেলা কার্যালয়ে। বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হন বিজেপির একাংশ।
বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় রাসবিহারী বসু ভবনে জেলা সভাপতি হিসেবে পিন্টু সামের নাম ঘোষণা করা হয়। রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকেই এই নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবর। এরপরই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, যাঁকে যুবমোর্চার সভাপতি করা হয়েছে তিনি তোলাবাজি ও দুর্নীতিতে যুক্ত। জেলা সভাপতি স্বজনপোষণ করছেন, টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিক্ষুব্ধদের এও অভিযোগ, সভাপতির অনুগামী হওয়ায় পিন্টু সামকে যুবমোর্চার সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ ওই কর্মীদের দাবি, অবিলম্বে পিন্টু সামকে সরাতে হবে। আর তা না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। এই বিষয়ে বিজেপি বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, অভিজিৎ তাঁ বলেন, ‘এটা মান অভিমানের ব্যাপার। রাজ্য নাম ঘোষণা করেছে। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা বিজেপির কেউ নন’।
প্রসঙ্গত, শুধু বর্ধমান নয়, অন্য জেলাগুলিতেও বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ ধরা পড়েছে। গতকাল বারসতের ছবিটাও ঠিক একই ছিল। বিজেপির বারাসত জেলা কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দেন পনেরো জন। প্রায় ৬৯ জন সদস্যের মধ্য থেকে ইস্তফা দেওয়ায় বর্তমানে কমিটিতে রয়েছেন ৫৪ জন সদস্য। বিক্ষুব্ধদের চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে।