রীতিমতো তোলপাড় কাণ্ড দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর একটি নামী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ‘হিপোক্রেটিক ওথ’-এর বদলে ‘মহর্ষি চরক শপথবাক্য’ পাঠ করানোর ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই খবর জানাজানি হতেই ওই কলেজের ডিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ডাক্তারি পাঠের একেবারে গোড়ায় একটি নির্দিষ্ট শপথবাক্য পাঠ করেন হবু চিকিৎসকেরা। তাকে বলে ‘হিপোক্রেটিক ওথ’। এর মাধ্যমে আজীবন সেবাকাজের শপথ নেন তাঁরা।
এদিন মাদুরাই মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হিপোক্রেটিক ওথ শুরু হলে, তাঁরা তাতে শপথ নেবেন। মঞ্চে উপবিষ্ট তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী পিটিআই পালানিভেল থিয়াগা রাজন এবং রাজস্ব মন্ত্রী পি মুর্থি। সময় মেনে শুরু হয় শপথবাক্য পাঠ। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, বড় সড় ভুল হয়ে গিয়েছে। হিপোক্রেটিক ওথের বদলে প্রেক্ষাগৃহে তখন গমগম করে বাজছে চরক শপথ। তড়িঘড়ি তা বন্ধ করা হয়। হুলস্থুল পড়ে যায় ঘরে।
প্রসঙ্গত, মেজিক্যাল কলেজের ডিন রাথিনাভেলকে তড়িঘড়ি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। সেই তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও রাথিনাভেল বলছেন, “এটা ছাত্র সংগঠনের সম্পাদকের দেখার কথা ছিল। তাঁর ভুলেই হিপোক্রেটিক ওথের বদলে মহর্ষি চরক শপথ বেজে ওঠে।” ঘটনায় হতভম্ব থিয়াগা রাজন বলেন, “আমি নতুন শপথবাক্য শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তো জানি চিকিৎসকেরা হিপোক্রেটিক শপথই নেন। এমনকি আমি তো রাজনীতিবিদদেরও এই শপথ নেওয়ার পক্ষপাতী। যা হল তা লজ্জার।”