জিনিসপত্রের দাম যে জায়গায় গিয়েছে তাতে মানুষের আত্মহত্যা করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার ঘুরপথে মোদী সরকারের সমালোচনা করে এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবীণ তোগাড়িয়া।
প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগে মু্খ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের মতো কয়েকটি অবিজেপি দল শাসিত সরকারের উদ্দেশে জানতে চান, তারা কেন পেট্রোল, ডিজেলে ভ্যাট কমাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর কথায় তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রাজ্যগুলির বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারই চড়া হারে ভ্যাট এবং অন্যান্য কর আদায় করছে জ্বালানি তেল থেকে।
রবিবার রাজস্থানের জয়পুরে প্রবীণ তোগাড়িয়ার বক্তব্য, সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারকেই কর হ্রাস করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, কোন জিনিসটির না দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষের তো আত্মহত্যা করতে হবে এরপর। উল্লেখ্য, কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই নেতাই গেরুয়া শিবিরের প্রথম ব্যক্তি যিনি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে এতটা কড়া মন্তব্য করলেন।
গেরুয়া শিবিরের এই নেতা বহুদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমালোচক। দু’জনেই গুজরাতি এবং সংঘ পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তোগাড়িয়া একজন শল্য চিকিৎসক। আমেদাবাদে তাঁর নিজের উদ্যোগে তৈরি হাসপাতাল আছে। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কাজ নিয়েই কাটে তাঁর দিন। দীর্ঘদিন ধরে ভিএইচপি’র আন্তর্জাতিক দফতরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কট্টরবাদী তোগাড়িয়া দাবি তোলেন সরকারি টাকায় অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ে দিতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানা মন্তব্যের কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তবে বহু বছর প্রচারের আলোর বাইরে ছিলেন। তবে গতকাল জয়পুরের অনুষ্ঠানে অবশ্য তোগাড়িয়া ছিলেন চেনা মেজাজে।
দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে মসজিদের মাইক খোলার দাবি নিয়ে বিতর্ক চলছে। তোগাড়িয়ার দাবি, মসজিদের মাইকের আওয়াজ কেন পাঁচ কিলোমিটার দূরেও শোনা যাবে? মাইক খুলে ফেলতে হবে অথবা শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সম্প্রতি রাজস্থানে সরকারি জমি দখল করে গড়ে মন্দির ভাঙা নিয়ে বিতর্ক দানা তৈরি হয়েছে। তোগাড়িয়ার দাবি, আইন করে মন্দির ভাঙা নিষিদ্ধ করতে হবে দেশে।