শনিবার দিল্লীতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে আহ্বান করেছে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। শুক্রবার জানা যায়, ওই বৈঠকে যাচ্ছেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর পরিবর্তে দিল্লীতে যাবেন বিহারের আইনমন্ত্রী। শনিবার নীতীশ যাবেন পুর্নিয়ায়। সেখানে ইথানল কারখানার উদ্বোধন করবেন।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, গত কয়েক মাসে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে নীতীশের। তাই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে যাচ্ছেন না। বিহারে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ দাবি তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নীতীশকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তাঁর বদলে বিজেপির কোনও নেতা মুখ্যমন্ত্রী হোন।
বিজেপি বিধায়ক বিনয় বিহারী খোলাখুলি বলেছেন, নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। তাঁর পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা তারাকিশোর প্রসাদকে। গত বুধবার সন্ধ্যায় এক ইফতার পার্টিতে দেখা যায়, নীতীশ সাদরে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদবকে। সেই তুলনায় তারাকিশোর প্রসাদকে তিনি ভালভাবে অভ্যর্থনা জানাননি।
পার্টি থেকে নীতীশের আগে বেরিয়ে যান তেজস্বী ও তাঁর ভাই তেজপ্রতাপ। নীতীশ তাঁদের বিদায় জানান। সাধারণত কোনও পার্টি থেকে মুখ্যমন্ত্রীই বেরিয়ে যান সকলের আগে। জনতা দল ইউনাইটেড অবশ্য বলেছে, নীতীশ আতিথেয়তা দেখিয়েছেন মাত্র।
কিছুদিন আগে বিহার সফরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একটি সূত্র থেকে জানা যায়, নীতীশ আশা করেছিলেন, অমিত শাহ আশ্বাস দেবেন যে, বিজেপি তাঁকে সরানোর চেষ্টা করবে না। পুরো পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দেবে। কিন্তু অমিত শাহ সেরকম আশ্বাস দেননি।