কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পান, বুধবার রাতের রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়ে যাতায়াত করছে ওই দুই সোনা পাচারকারী। খবর পাওয়ার পর পাচারকারীদের ধরপাকড়ের পরিকল্পনা করেন আধিকারিকরা।
এবং বানচাল হয়ে যায় সোনা পাচারের ছক। ও বড়সড় সাফল্য পান কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। রাজধানী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছনোর পরই দুই মহিলা সোনা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত দুই মহিলাকে বৃহস্পতিবারই শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হবে।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে দাঁড়ানোর পর ট্রেনেই চলে ব্যাপক তল্লাশি। এরপর আধিকারিকরা ওই ট্রেন থেকেই দু’জনকে পাকড়াও করে। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ধৃত দুই মহিলা লীলা গোস্বামী ও মৌসুমী অধিকারী। তাদের কাছ থেকে ২ কেজি ৬৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারদর আনুমানিক ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা।
এরপর ফের রাজ্যে বিপুল পরিমাণ সোনা-সহ গ্রেপ্তার দুই মহিলা পাচারকারী। ধৃত লীলা গোস্বামী ও মৌসুমী অধিকারীর সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোনা পাচারের নেপথ্যে কারা রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গতবছর অক্টোবরে দুবাই থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছনো ইন্ডিগোর বিমান – 6E28। এর দুটি আসনের নিচে সোনা লুকিয়ে আনা হচ্ছে, গোপন সূত্রে এমন খবর ছিল শুল্ক দপ্তরের কাছে।
সেইমতো শুল্ক আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। বিমানের ১৭ এবং ১৮ নং সিটের নিচ থেকে সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ১ কেজি ৮০০ গ্রাম। বাজারমূল্য ৮৬ থেকে ৮৭ লক্ষ টাকা। সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করে বিমানবন্দর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।