মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত কৃষকের ঋণ মকুব করে দেওয়া হল।
ক্ষমতায় আসার আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী একাধিক জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে সরকার গঠনের পর দশ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করা হবে। রাহুলে দেওয়া কথা রাখলেন তাঁর মনোনীত মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারই শপথ নিয়েছেন কমল নাথ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঋণ মকুব করার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করা হবে কৃষকদের। রাজ্যে পালাবদলের পরই সচিবদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। চারদিন আগে থেকে সেইমতো বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন রাজ্যের সচিবরা। এই ঋণ মকুবের ফলে রাজকোষ থেকে ঠিক কত টাকা ব্যয় হবে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি কেউই। তবে, অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে ঋণ মকুবের জন্য। গত চারদিনে যে পরিমাণ তথ্য জোগাড় হয়েছে সেই অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশে মোট কৃষিঋণ রয়েছে ৭৫ হাজার কোটির। কিন্তু এই এই বিপুল অংকের আর্থিক ধাক্কা রাজকোষ কিভাবে সামলাবে তা অবশ্য ভাবতে হবে কংগ্রেসকে।
এ ব্যাপারে বিজেপি-কে খোঁচা দিয়ে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরুণ যাদব বলেন, ‘এ দেশে ভোট ইস্তাহারে কী রকম ‘জুমলা’ ঘোষণা করা হয় পাঁচ বছর ধরে দেশ দেখছে। কিন্তু কংগ্রেস বরাবরই নির্বাচনী ইস্তাহার বাস্তবায়নের পথে হেঁটেছে। কেন্দ্রে প্রথম ইউপিএ জমানায় একশ দিনের কাজ প্রকল্প, পরে খাদ্য সুরক্ষা আইন, শিক্ষার অধিকার আইনের বাস্তবায়ণ করেছে কংগ্রেস। সেই ট্রাডিশনই সমানে চলছে।’
