সীতা। ভারতের ব্রোঞ্জজয়ী মহিলা। যিনি ২০১১ সালে এথেন্সে স্পেশাল অলিম্পিকে ২০০ এবং ১৬০০ মিটার দৌড়ে দু’টি ব্রোঞ্জ পদক জিতে ছিলেন। ২০১৩ সালে স্পেশাল অলিম্পিক্সে সাফল্যের পর সীতা পেল বহু সংবর্ধনা, কত প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাস।
কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার তখন তাঁকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়ে “দেশের গর্ব” বলে উল্লেখ করেন। সীতার দাবি, জ্যোতিরাদিত্য পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া ছাড়া আর কিছুই দেননি। যে টাকা পেয়েছিলেন তা দিয়েই শিঙাড়ার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। জীবন ধারণের সেই সম্বলটুকুও পুরসভার বুলডোজার কেড়ে নিল!
সংসারে তীব্র আর্থিক সমস্যা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অ্যাথলেটিক্সের প্রতি ভালোবাসা থাকার জন্য অ্যাথলেটিক্স ছাড়তে পারেননি। অলিম্পিকে সাফল্যে পাওয়ার পর পেয়েছিলেন অনেক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হয়নি।
সংসারের আর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্য সীতা রাস্তার ধারে একটা ছোট্ট সিঙাড়ার দোকান করেছিলেন। সিঙাড়া বিক্রি করে কোনও রকমে সংসার চলত। কিন্তু তাঁর ওই ছোট্ট দোকানটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় পুরসভা। হকার উচ্ছেদ অভিযানের বলি হল সীতার শিঙাড়ার দোকান। এখন কী ভাবে দিন চলবে সেটাই বড় চিন্তায় রেখেছে সীতাকে।
অসহায় সীতা প্রতিবন্ধী হিসেবে যাতে সাহায্য পান তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংহ চৌহান। কিন্তু এ ব্যাপারে সবাই নির্বাক। সুতরাং তাঁর সাহায্যের ব্যাপারটা এখন দারুন অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন সীতার মা।