কাঠফাটা রোদের দাবদাহে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ যখন পুড়ছে, তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে যখন ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির আশপাশে। অসহ্য গরমে যখন নাজেহাল সাধারণ মানুষ তখন এক টুকরো স্বস্তির জন্য ভিড় জমাচ্ছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড় জুড়ে মনোরম আবহাওয়া। কখনও বৃষ্টি, আবার কখনও বা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পাহাড়। সঙ্গে বইছে হাওয়া।
দার্জিলিং সিকিম গ্যাঙটক মিরিক লেকেও নেমেছে পর্যটকদের ভিড়। দিনভর লেকের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো। তারপর লেকে বোটিং। এবারে তো আবার নয়া আকর্ষণ শিকারা। সব মিলিয়ে পাহাড় এখন পর্যটকময়। যেন কিছুতেই পাহাড় ছাড়তে ইচ্ছে করছে না পর্যটকদের।
তবুও মন খারাপ অনেকেরই। সব পেয়েছির মাঝেও কিছু একটা না পাওয়ার বিষন্নতা! ঘুমন্ত বুদ্ধ দর্শন যে আর হল না এবারের ট্রিপে। আকাশ হয় মেঘে ঢাকা, নয়তো কুয়াশার চাদরে মোড়া। তবু এই আক্ষেপের মাঝেও স্বস্তি দিয়েছে উত্তরের মনোরম আবহাওয়া।
শৈলশহর দার্জিলিং থেকে কালিম্পং, কার্শিয়ং থেকে মিরিক। এক টুকরো স্বস্তির টানে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। বিশেষ করে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকদেরই ঢল নেমেছে পাহাড়ে। কলকাতার গরম যেখানে এসিতেও মানছে না, তখন সোয়েটার, মাফলার, টুপি চড়িয়ে ম্যালে জমিয়ে আড্ডা মারছেন পর্যটকেরা। সঙ্গে গরম দার্জিলিং চায়ের কাপে চুমুক।
ঘুম ভাঙতেই ম্যালে ভিড়। দেদার আড্ডা। এমন আবহাওয়ার মোহেই তো পাহাড়ে আসা। কলকাতার অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে দূরে সরে আসা। মন যেন চায় আরও অনেক কিছু! পাহাড় ছাড়তে মনও মানছে না। কিন্তু হাতে যে ছুটি কম। কালিম্পংয়ের ডেলোতেও সকাল থেকে পর্যটকদের থিক থিকে ভিড়। ডেলোর ফুল বাগানে দেদার সেল্ফি আর গ্রুফি তোলার হিড়িক। সঙ্গে কেউ দুলছেন দোলনায়। আবার কেউ বা ঘোড়ার পীঠে সওয়ারি হয়েছেন।