খবরের কাগজের পাতায় চোখ রাখলেই আজকাল দেখতে পাওয়া নৃশংসতার ঘটনা। খুনখারাবি। অপহরণ। ধর্ষণ। তেমনই আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল রানিগঞ্জের জেমেরি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চলবলপুর এলাকায়।
দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর ইসিএলের পরিত্যক্ত কয়লাখনি থেকে ২১ এপ্রিল শ্বশুর ও জামাইয়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রানিগঞ্জের জেমেরি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চলবলপুর এলাকায়।
পরিত্যক্ত খনি থেকে দেহ উদ্ধার, মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা মলয় ঘটকপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রটিবাটি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দু’নম্বর ভূঁইয়া পাড়ার বাসিন্দা রাকেশ ভূঁইয়া ও বিপিন ভুঁইয়া দু’দিন আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন।
মৃত দু’জন সম্পর্কে শ্বশুর-জামাই। অন্যদিকে, রানিগঞ্জ থানার অন্তর্গত নিমচা ফাঁড়িতে মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়, জামাই ও শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে রবিবার দেখা করেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। দেখা করার পর মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের হাতে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি।
মুখাগ্নি থেকে মুণ্ডন, শাস্ত্র মেনে শামসুদ্দিনের হাতে স্বজনহীন যোগেন্দ্রর পারলৌকিক ক্রিয়াএই বিষয়ে মলয় ঘটক বলেন, “ঘটনার বিষয় নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সঠিক তদন্ত করার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি।
মৃতের পরিবারের সঙ্গে কেন এরকম ব্যবহার করা হয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নেব। তবে খুন হলেও তা ময়নাতদন্তের আগে বলা সম্ভব নয় ৷ মৃতদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।