কৃষক ইস্যুতে বিজেপিকে আরও কোণঠাসা করল তৃণমূল। কৃষক ক্ষোভের জবাব চেয়ে সংসদে নোটিস দিল তারা। ফলে শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলকে আরও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পাঁচ রাজ্যে মোদী সরকারের ভরাডুবির পেছেন সেখানকার কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের দূরাবস্থাই অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এই বিষয়টি নিয়েই এবার সংসদে মোদী সরকারকে চেপে ধরতে চাইছে তৃণমূল। ফল প্রকাশের সময় রাজধানীতেই ছিলেন মমতা। সেদিনই তিনি দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতাদের দেশের কৃষিক্ষেত্রের বিপর্যয় এবং কৃষকদের দূরাবস্থা নিয়ে দলীয় সাংসদরা যাতে সংসদে সরব হন, সেই পরামর্শ দিয়েছেন।
সেই অনুয়ায়ী আজ সোমবার অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কৃষক ইস্যুতে ধর্না ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূলের সাংসদেরা। পাশাপাশি সংসদের অন্দরেও, দুই কক্ষেই কৃষক ইস্যুতে সোচ্চার হন তাঁরা। ‘কৃষকদের দুরবস্থা ও কৃষিক্ষেত্রের সমস্যা’ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে রাজ্যসভায় নোটিশ জমা দেওয়া হয়েছে। লোকসভাতেও একই ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানানো হবে বলেও ঠিক হয়েছে। শুধু একদিনের ধর্না প্রদর্শন নয়, একটানা সংসদে কৃষক ইস্যু নিয়ে দলকে সোচ্চার থাকার জন্যই দলের সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
দেশের কৃষকেরা যে কেন্দ্র সরকারের উপর অখুশি, তা অনুধাবন করতে পারছেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার মোদী সরকারকে কৃষ্ক-অস্ত্রেই ‘বধ’ করতে চান তিনি। কৃষক ইস্যু নিয়ে মমতার লড়াই সর্বজনবিদিত। সিঙ্গুরের কৃষক ইস্যু নিয়ে সরব হয়েই বাংলায় ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন মমতা। তাই তৃণমূলনেত্রীর পরামর্শে দলের সাংসদরা জাতীয় রাজনীতির পীঠস্থান, সংসদে কৃষক ইস্যু নিয়ে মাঠে নামলে কেন্দ্র সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।