আস্ত একটা বড় ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে আর বিতর্ক হবে না। এ যেন ভাবাই যায় না। কলকাতার ডার্বি অনেক বিতর্কের সাক্ষী থেকেছে। ব্যতিক্রম হল না এবারের ডার্বিও। আই লিগের প্রথম বড় ম্যাচে প্রশ্নের মুখে অবশ্যই রেফারির ভূমিকা। এদিন যুবভারতীতে রেফারির একের পর সিদ্ধান্ত মোহনবাগানের বিপক্ষে গিয়েছে বলে দাবি সবুজ মেরুন সমর্থকদের। এমনকী ক্ষুব্ধ সবুজ মেরুন কর্তারাও।
তাই ম্যাচ শেষে সরাসরি ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করল মোহনবাগান। ‘খারাপ রেফারিং’ নিয়ে। ডার্বিতে রেফারি এবং লাইন্সম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ মোহনবাগানের। ‘আমরা ফেডারেশনকে জানিয়েছি। মনে করি এমন ধরনের রেফারি, লাইন্সম্যানকে নির্বাসিত করা উচিত। শনিবারই বুঝেছিলাম আমাদের বিরুদ্ধে যাবে সব কিছু। কারণ, একই অপরাধে যখন আমাদের আর্থিক জরিমানা হয়েছে তখন ঠিক সেই অপরাধে জুনিয়র ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে সর্তক করে ছেড়ে দেওয়া হল! ইঙ্গিত শনিবারই পেয়েছিলাম।’ ম্যাচ শেষে যেন আগ্নেয়গিরি মোহনবাগান শিবির। অর্থ সচিব দেবাশিস দত্তই জানিয়ে গেলেন রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর কথা।
মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর শরীরী আচরণে স্পষ্ট, ফলাফলে হয়তো হেরেছেন, কিন্তু মাঠে নব্বই মিনিট লড়াইয়ে তিনি হারেননি।
‘এটুকু বলতে পারি প্রত্যাশামাফিক ফল হল না। অবশ্য আমরা দশ জনে খেলে ম্যাচের ফল ৪–১ হতে দিইনি। উল্টে ৩–২ করেছি। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট তো এটাই। হ্যঁা, আমরা দশ জনে খেলার সময় কিন্তু দাঁড়িয়ে যাইনি।’
সোমবার ভোরে পাঞ্জাব উড়ে যাচ্ছে মোহনবাগান। মিনার্ভার বিরুদ্ধে খেলার জন্য। একে তীব্র লড়াই করেও ম্যাচ হেরে যাওয়া। তারপর ক্লান্তি। সব মিলিয়ে মোহনবাগান ফুটবলাররা কথা বলার মতো জায়গায় ছিলেন না। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে যান। তবে, মাঠ ছাড়ার আগে ঘনিষ্ঠ মহলে সনি নর্ডি বলে গেছেন, ‘দুর্বল রেফারিং।’