একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে শাখা-প্রশাখা বিস্তারের কাজ শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে একাধিক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এবার দিন দশেকের মধ্যেই আসামে আরও বড় ‘দিদি ম্যাজিক’ দেখা যাবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।
জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা যোগ দিতে পারেন বাংলার শাসকদলে। সেই যোগদান পর্বে থাকতে পারে বড়সড় চমক। রবিবার কলকাতায় এসে আসাম কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা তৃণমূলে যোগদান করেন। যা এআইসিসি নেতৃত্বের কাছে বড় ধাক্কা। তার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি পাঠিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন রিপুন। তাঁর যোগদানে আসামে তৃণমূল সংগঠন জোরদার হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুস্মিতা।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিন দশেকের মধ্যে আরও ‘দিদি ম্যাজিক’ অপেক্ষা করছে। অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তৃণমূলে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দলে যোগদান করানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আগামী দিন দশেকের মধ্যেই গুয়াহাটিতে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হবে।’ তাঁর কথায়, ‘মমতাদির নেতৃত্বে আসামের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান।’ জানা গিয়েছে, আসামের সদর শহর গুয়াহাটিতে রাজ্য তৃণমূলের একটি দফতর খোলা হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই। এবার থেকে আসাম তৃণমূলের যাবতীয় কাজকর্ম হবে ওই দফতর থেকেই। কংগ্রেস নেতাদের যোগদান করানো হবে নতুন ওই দফতরে।