এর আগে নীলবাড়ির লড়াইয়ে জেতা শান্তিপুর এবং দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনে খুইয়েছে বিজেপি। এ বার ধাক্কা এল লোকসভা উপনির্বাচনে। এদিন তৃণমূল আসানসোল ছিনিয়ে নিতেই রাজ্যে ১৮ থেকে ১৭ হয়ে গেল বিজেপি। পাশাপাশি, সর্বভারতীয় পর্যায়েও আসন কমে গেল বিজেপির। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপির আসন ছিল ৩০৩। আসানসোল হারানোয় কমে হল ৩০০।
প্রসঙ্গত, আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালকে হারানোয় বাংলায় পদ্মশিবিরের লোকসভার প্রতিনিধির সংখ্যাও এক জন কমে গেল। ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। সেই তালিকায় ছিলেন আসানসোল থেকে জেতা বাবুল সুপ্রিয়। উপনির্বাচনে হারার ফলে তা কমে হল ১৭। অন্য দিকে, তৃণমূলের লোকসভা সাংসদের সংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে হল ২৩।
আসানসোলকে হিসেবে ধরলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে সর্বভারতীয় পর্যায়ে বিজেপির আসন কমল ৩টি। প্রবল মোদী হাওয়ায় ভর করে ২০১৯-এ ৩০৩টি আসনে একক ভাবে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০২১-এর নভেম্বরে উপনির্বাচনের পর তা নেমে এসেছিল ৩০১-এ। সে সময় বিজেপির থেকে হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী লোকসভা ছিনিয়ে নিয়েছিল কংগ্রেস। গুজরাত-ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হবেলী লোকসভা কেন্দ্রে প্রয়াত বিজেপি সাংসদের স্ত্রী শিবসেনার টিকিটে প্রার্থী হয়ে মোদীর দলকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। এবার আসানসোলে তৃতীয় ধাক্কা এল তৃণমূলের তরফে।