মুম্বইয়ে প্রাক্তন নাইটের ‘কালবৈশাখী’, টানা দুই ম্যাচে হারল কলকাতা। প্রাক্তন নাইটের হাতে ফের এক বার হারতে হল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। শেষ বার যখন রাহুল ত্রিপাঠী আইপিএলে অর্ধশতরান করেছিলেন তখন কলকাতার হয়ে খেলতেন তিনি। সেই কলকাতার বিরুদ্ধেই বিধ্বংসী মেজাজে দেখা গেল তাঁকে। তাঁর ৩৭ বলে ৭১ রানের দাপটে এ বার হায়দরাবাদের কাছেও হারল কেকেআর।
১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে যান অভিষেক শর্মা। রান পাননি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে তাঁকে আউট করেন আন্দ্রে রাসেল। দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচ কলকাতার হাতে। তখনই ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন ত্রিপাঠী।
তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে খেলা ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শ্রেয়স ও নীতীশ রানা। বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন তাঁরা। ভাল দেখাচ্ছিল শ্রেয়সকে। কিন্তু উমরান মালিকের ১৪৯ কিলোমিটার গতিবেগের ইয়র্কারে ২৮ রানের মাথায় বোল্ড হন তিনি।
নীতীশ এক দিকে ধরে থাকলেও অন্য দিক থেকে উইকেট পড়ছিল। রানা অর্ধশতরান করেন। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি বড় শট খেলেন রাসেল। তাঁর ২৫ বলে ৪৯ রানের দৌলতে ৮ উইকেটে ১৭৫ রানে শেষ হয় কলকাতার ইনিংস। বড় রান তুলেও ত্রিপাঠীর দাপটে ম্যাচ হারতে হল কলকাতাকে।
আমন খানের ওভারে ১৩ ও বরুণ চক্রবর্তীর ওভারে ১৮ রান নেন ত্রিপাঠী। সহজে বড় শট খেলছিলেন। মাত্র ২১ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন এডেন মার্করাম। দু’জনকে দেখে মনে হচ্ছিল আরাম করে বড় শট খেলছেন। কোনও বোলারই তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি।
৭১ রান করে রাসেলকে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হন ত্রিপাঠী। তবে তত ক্ষণে ম্যাচের রাশ হায়দরাবাদের হাতে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যান উইলিয়ামসনরা। মার্করাম ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারায় কলকাতা। বোলিং সহায়ক পিচে দুরন্ত বল করছিলেন হায়দরাবাদের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, মার্কো জানসেন, টি নটরাজনরা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই একই ওভারে বেঙ্কটেশ আয়ার ও সুনীল নারাইনকে আউট করে বড় ধাক্কা দেন নটরাজন।