পালিত হল অকাল বসন্তোৎসব! যা নিয়ে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। নির্ধারিত সময়ে না-হলেও চৈত্রের শেষে অকাল বসন্তোৎসব করে সমালোচনার মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই বসন্ত বন্দনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক এমনকী সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শান্তিনিকেতনের অন্যতম দুটি বড় উৎসব পৌষ মেলা ও বসন্তোৎসব। অভিযোগ, উপাচার্য পদে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আসার পর থেকেই এই উৎসব বন্ধ করে দিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান করছে না কর্তৃপক্ষ। যদিও চলতি বছর নির্ধারিত সময়ে বসন্তোৎসব করতে চেয়েছিল বিশ্বভারতী, এমনটাই তারা দাবি করেছিল। ছাত্র আন্দোলনের জেরে তা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলেও কর্তৃপক্ষ উৎসব-অনুষ্ঠান করতে পারে না বলে দাবি করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানা গিয়েছিল, নির্ধারিত সময়ে না-হলেও অকাল বসন্তোৎসব হতে চলেছে বিশ্বভারতীতে। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে উৎসবের প্রস্তুতি পর্বের একটি ভাইরাল ভিডিয়োকে ঘিরে শুরু হয়েছিল জল্পনা। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল। তবে সূত্রের খবর, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ঘরোয়াভাবে বসন্তোৎসব পালনের পরিকল্পনা করেছে। তবে ঠিক কোনদিন সেই উৎসব হবে, তা তখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। তিন বছর ধরে বসন্তোৎসব পালন করেনি বিশ্বভারতী। যদিও এবছর বসন্তোৎসব করতে না-পারার দায় ছাত্র আন্দোলনের উপর চাপিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে আবারও শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। দোলের দিন বসন্তোৎসবকে কেন্দ্র করে বছর তিনেক আগে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই উৎসব বন্ধ করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।