বাংলা নববর্ষ শুরুর আর বেশিদিন বাকি নেই। আর তার আগে সোমবারই বইপাড়ায় এসেছে ১৪২৯ সালের পঞ্জিকা। এবং গুপ্তপ্রেস, বেণীমাধব শীল, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত— তিন পঞ্জিকা দফতরই মনে করছে, আসন্ন বাংলা সালটা তৃণমূলের। জানা গিয়েছে, এই বছর ২৪ এপ্রিলের পর থেকে টানা আড়াই বছর দেশ এবং রাজ্যের পক্ষে খুবই শুভ বলে মনে করছে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা। সংস্থার কর্ণধার বলেন, গত দু’বছরের ক্ষতি মিটবে এই বছরে। বিগত দু’বছরের আর্থিক মন্দা কাটবে এই বছরে। গ্রহের ফেরে যাবতীয় সমস্যা মিটবে ওই সময়ের পর থেকেই। শ্রীবৃদ্ধি হবে। মহামারী অতিমারির সময় কাটবে।
অন্যদিকে, দেশের বিষয়ে বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকা প্রণেতাদের এ বছরের ভবিষ্যৎবাণী হল—‘বর্ত্তমান বৎসরে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কিছুটা পরিবর্ত্তন দেখা দেবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দিকে সরকার নজর দেওয়ার চেষ্টা করলেও সাফল্য আসবে না। কৃষি ও শিক্ষা নিয়ে সমস্যা বৃহদাকার ধারণ করতে পারে। সীমান্ত সমস্যা বিব্রত করতে পারে। শিল্প, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক জগতের কয়েকজন দিকপালের জীবনাবসার দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে।’
আবার গুপ্তপ্রেস বলছে, নববর্ষ থেকে বাংলা নতুন ক্যালেন্ডার কার্যকরী হয়। তাতে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, যারা যেরকম আছে, তারা সেরকমই থাকবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ বছর খুব একটা পরিবর্তন হবে না। এক নম্বরে রাজ্যের শাসক দলের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দু’নম্বর জায়গাটা দেশের একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলকে ছেড়ে দিতে হবে। তারা এ-ও মনে করছে, রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদল দ্বিতীয় স্থানে আসবে কি না, তা বলা শক্ত। তাদের যে নিজস্ব জায়গাটা ছিল, তা তারা কায়েম রাখতে পারবে কি না, সন্দেহ রয়েছে।