এল অভাবনীয় সাফল্য। বাংলাজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প’ চলছে জোরকদমে। ছাত্রছাত্রীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের ঋণ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই যার পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে এপ্রিলেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে প্রদেয় ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে ১ হাজার কোটির অঙ্ক। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহারে রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্বাচনে জয়ের পরই পড়ুয়াদের জন্য ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প চালু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের সূচনা হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সাতমাসে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। মোট ২১ হাজার ৫০০ জন পড়ুয়া ঋণ পেয়েছেন। নবান্ন সূত্রের খবর, এমাসেই আরও প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন পেতে চলেছে। অর্থাৎ এপ্রিলের মধ্যেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নবান্নে সমস্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উপস্থিত ছিলেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সচিবও। এদিন মুখ্যসচিব ব্যাংকগুলিকে জানিয়ে দিয়েছেন, যে সব ঋণের আবেদন সরকারের তরফে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ব্যাংকে আটকে রয়েছে, সেগুলিকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অনুমোদন দিয়ে দিতে হবে। স্কুলশিক্ষা দপ্তরকেও এদিন মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, যেসব আবেদনপত্র স্কুলশিক্ষা দপ্তরে আটকে আছে সেগুলিও ৩০শে মে-এর মধ্যে ছাড়পত্র দিয়ে দিতে হবে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার পড়ুয়া। এর মধ্যে ২১ হাজার ৫০০ জন পড়ুয়া ইতিমধ্যেই ঋণ পেয়ে গিয়েছেন। আরও ৫৫ হাজার আবেদনপত্র সরকারি ছাড়পত্র পাওয়ার পর ব্যাঙ্কে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এপ্রিলের মধ্যেই তার একটা বড় অংশের ঋণ অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা নবান্নের। পড়ুয়ারা যাতে আরও সহজে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে আগামী ৭ই এপ্রিল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য রাজ্যজুড়ে বিশেষ শিবির করা হবে। যে শিবিরে গিয়ে পড়ুয়ারা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওই শিবিরে নিজেদের নথিপত্রও জমা করা যাবে।