এখনও দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত এই ছবিটি ইতিমধ্যেই ২৩১ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। বেশ কয়েকটি বিজেপিশাসিত রাজ্যে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ছবিটি। এর মধ্যেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি নিয়ে মুখ খুললেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসন হোক, সেটাই তাঁদের একমাত্র দাবি। একটি সাক্ষাৎকারে কেজরিওয়াল বলেছেন, “৩২ বছর আগে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জীবনে ভয়ানক বিপর্যয় নেমে আসে। সেই ঘটনার এতবছর পরে সরকার তাঁদের বলছে, আপনাদের জন্য আমরা একটি ছবি বানিয়ে দিলাম।” কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কী চান, সেপ্রসঙ্গে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ফিল্ম চান না, তাঁদের পুনর্বাসন হোক সেটাই চান তাঁরা।” বিজেপি সরকার ছবিটিকে নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অবস্থার উন্নতি করতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি? সেই প্রশ্নও তুলেছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই কিছু করেনি বলে দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, “১৯৯৩ সালে দিল্লীতে আসা কাশ্মীরি পণ্ডিতরা অনেকেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন। আপ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাঁদের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।” দিল্লীতেও কি করমুক্ত হতে পারে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’? এই প্রশ্নের উত্তরে কেজরিওয়াল জানান, “একটি ফিল্ম আমার জন্য সেরকম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিজেপি ছবিটি নিয়ে রাজনীতি করে, আমি করি না।” সবাই যাতে ছবিটি দেখতে পারেন, সেজন্য ইউটিউবে ছবিটি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি সাম্প্রদায়িক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকই। সেই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল জানান, “আমি ছবিটি দেখিনি। তাই আমি কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু আমি এটাই বলব, ছবি নয়, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশার প্রতিকার হোক।” উল্লেখ্য, নয়ের দশকের শুরুতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে তৈরি হওয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলীয় সাংসদদের ছবিটিকে সমর্থন করার জন্য বার্তাও দেন তিনি।
