সোমবার বিধানসভায় হাতাহাতির ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঘুষি মারার অভিযোগ তুলেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। এছাড়া বেশ কয়েকজন শাসকদলের বিধায়ক আহত হয়েছেন এদিনের ঘটনায়। এ জন্য এবার সরাসরি শুভেন্দুকেই দায়ী করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘এ রকম গুন্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা আগে কোনও দিন দেখিনি। এই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তথ্য দিয়ে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করতেন। আরও অনেক বিরোধী দলনেতাকে আমরা দেখেছি। কিন্তু এ রকম অরাজকতা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলনেতা দেখিনি কখনও।’
অন্যদিকে, সোমবার বিধানসভায় হাঙ্গামার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, নরহরি মাহাতো এবং মনোজ টিগ্গাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে শাসক দল। তাঁদের সাসপেনশনের দাবি করেন, ফিরহাদ, উদয়ন গুহ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। সেই প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ বলেন, ‘ওঁরা (বিজেপি বিধায়কেরা) মার্শালকে মেরেছে। বিধানসভার কর্মীদের মেরেছে। আমাদের একাধিক বিধায়ক হামলায় আহত হয়েছেন। মাননীয় স্পিকারের কাছে আমাদের দাবি, হামলাকারী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ এর পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল শিবিরের দাবি মেনে শুভেন্দু-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন।