গত বছরেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথীতে কোনও রকম কারচুপি করলে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তাঁর সরকার। যেমন কথা, তেমন কাজ৷ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রলোভন দেখিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠতেই ব্যবস্থা নিল জেলা প্রশাসন। এই ঘটনায় আগেই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প থেকে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমকে সাসপেন্ড করা হল। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই নার্সিংহোমের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের পাওনা টাকা আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ‘এ ঘটনায় নজরদারি দলকে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। আচমকা বিভিন্ন নার্সিংহোম পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে অনিয়ম রুখতে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক (স্বাস্থ্য) ইউনিস রিসিন ইসমাইলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। কাটোয়ার খোসবাগানের যে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ সদস্যের দল এই ঘটনায় তদন্ত করছে। তাদের তদন্তে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৬ টি কার্ডের কোনও ডিসচার্জ সার্টিফিকেট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেন। এছাড়াও ১৫ টি কার্ড রয়েছে নার্সিংহোমে যেগুলি ব্যবহার করা হয়নি। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, একদিন রোগীকে রেখে সাতদিনের টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।
