আসতে চলেছে বদল। এবার আর পাঁচ টাকা নয়, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মেট্রোয় পা দিলেই খসাতে হবে দশ টাকা। পূর্ব এবং পশ্চিম দু’দিকের পরবর্তী স্টেশনের দূরত্বই দু’কিলোমিটারের বেশি হওয়ায় সর্বনিম্ন পাঁচ টাকার টোকেন এই স্টেশনে থাকছে না। জানা যাচ্ছে, আগামী মাসে এই রুটে পরিষেবা শুরু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। সেই মতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএস। তারপর তাঁরা ছাড়পত্র দিলেই শিয়ালদহ থেকে যাত্রী নিয়ে ছোটা শুরু করবে মেট্রো। একদিকে ফুলবাগান উল্টোদিকে এসপ্ল্যানেড। দুই স্টেশনেরই দূরত্ব দু’কিলোমিটারের বেশি। যে কারণে শিয়ালদহ থেকে একটা স্টেশন যেতে গেলেও খরচ হবে দশ টাকা। সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যেতে খরচ হবে ২০ টাকা। মেট্রোর ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী প্রথম দু’কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া পাঁচ টাকা। তারপর দুই থেকে পাঁচ কিলোমিটারের ভাড়া দশ টাকা। শিয়ালদহ থেকে যেহেতু ফুলবাগান স্টেশনের দূরত্ব ২.৩৩ কিলোমিটার এবং এসপ্ল্যানেডের ২.৪৫ কিলোমিটার, তাই এখান থেকে ট্রেনে চাপলেই যাত্রীদের খসবে দশ টাকা।
বিপুল সংখ্যক যাত্রী ওঠানামার সুবিধার্থে দুটি লাইনের জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে থাকছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম। মানে তৈরি হয়েছে আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম। দু’পাশেই বসেছে স্ক্রিনডোর। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ট্রেনের দু’দিক দিয়ে ওঠানামা করার জন্য ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম থাকছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে শিয়ালদহ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হতে চলেছে। সেইকারণেই যাত্রীদের ভিড় সামলাতে ও তাঁদের সুরক্ষার কথা ভেবে শিয়ালদহ স্টেশনে বিশেষ প্ল্যাটফর্ম রাখা হয়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে স্টেশনে থাকছে ৯টি সিঁড়ি, ১৮টি এসকেলেটর, ২৭টি টিকিট কাউন্টার। এ ছাড়াও, বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য থাকছে বিশেষ লিফট। লোকাল ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা যাতে মেট্রো স্টেশনে চলে আসতে পারেন, সে বন্দোবস্তও করা হয়েছে। মেট্রো স্টেশন চত্বর থেকেই কাটা যাবে লোকাল ট্রেনের টিকিটও।
