দেশজুড়ে ডাকঘরের পাশাপাশি আধার আপডেট করার কাজও করছে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বা আইপিপিবি। আর্থিক পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কাজ মূলত আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত করা বা পরিবর্তন করা এবং ই-মেল যোগ বা পরিবর্তন করা। এরই সঙ্গে পাঁচ বছরের নীচের শিশুদের আধার কার্ড করানোর দায়িত্বও রয়েছে ডাক বিভাগের অধীন এই পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই বাংলা সার্কেলে মোট এক কোটি গ্রাহককে এই পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল আইপিপিবি। ২২শে মার্চ, মঙ্গলবারই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হল তাদের। এই কাজে যাতে ডাক কর্মীরা আরও উৎসাহ পান, তাই কমিশনের পাশাপাশি পুরস্কার জিতে নেওয়ার স্কিম চালু করেছিল আইপিপিবি। এই স্কিমে ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে স্কুটি জেতার সুযোগ ছিল কর্মীদের। গোটা দেশে প্রথম পুরস্কার হিসেবে মোট ৯০টি স্কুটি পুরস্কার হিসেবে দিয়েছে এই ব্যাঙ্ক। তার মধ্যে ৮৮টি স্কুটি জিতেছেন বাংলার ডাক কর্মীরাই। বাকি দু’টি গিয়েছে তামিলনাড়ু ও দিল্লীতে। অন্যান্য পুরস্কারের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে বাংলা, জানাচ্ছে তথ্যসূত্র।
এপ্রসঙ্গে আইপিপিবি’র কর্তারা বলছেন যে, আধার আপডেট করার কাজে এখনও পর্যন্ত দেশের সেরা বাংলা। এই ব্যাঙ্ক চলতি আর্থিক বছরে ৫০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। সেখানেও সেরার তালিকায় রয়েছে বাংলা, এমনটাই বলছেন দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, ডাক বিভাগের কাউন্টারের পাশাপাশি যেহেতু বাড়িতে গিয়েও আধার সংক্রান্ত পরিষেবা দিচ্ছেন ডাক কর্মীরা, তাই সাফল্য মিলছে হাতেনাতে। শুধুমাত্র আধার সংক্রান্ত পরিষেবা দিয়ে এখনও পর্যন্ত তিন থেকে চার লক্ষ টাকা কমিশন পেয়েছেন বেশ কয়েকজন ডাক কর্মী। দফতর শুধু এই কাজের জন্য বাংলায় সামগ্রিকভাবে ডাক কর্মীদের প্রায় ১০ কোটি টাকার কমিশন দিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা।
