কথায় বলে মানুষের মন! কখন কী চায় বোঝা মুশকিল। তা বলে এমন কাণ্ড? সহকর্মী তথা বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা। এমন ঘটনাই ঘটেছে রাজস্থানে। এক সেনাকর্মী ধর্ষণের চেষ্টা করলেন আরেক সেনাকর্মীর স্ত্রীকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে চার সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে ওই দম্পতিকে হেনস্তা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাদের ২ জন কর্ণেল ও ২ জন মেজর পদমর্যাদার সেনা আধিকারিক। যদিও পরে সেনার তরফে বলা হয়, এই ঘটনায় সেনা বাহিনী অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। থানাকেও তদন্তে সহযোগিতা করা হবে।
স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক ভরত রাওয়াত জানিয়েছেন, নির্যাতিতার অভিযোগের বয়ান অনুযায়ী, তাঁর স্বামী ১৪ মার্চে ঘটনাটি ঘটার পরেই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের বিষয়টি জানান। যদিও তারা কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। বরং নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামীকেই হেনস্তা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ মার্চে। নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট এলাকাতেই থাকেন। তাঁর অভিযোগ, ওই দিন সন্ধেবেলা সেনা বাহিনীর এক সুবেদার তাঁর বাড়িতে আসেন।
মহিলা তখন স্নান করছিলেন। তখনই সেনাকর্মী সুবেদার তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। মহিলা চিৎকার করায় সেই আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন তাঁর স্বামী। ফলে তিনি রক্ষা পান। অভিযুক্ত সেনাকর্মীকে ধরার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী। যদিও তিনি পালাতে সক্ষম হন।
নির্যাতিতার অভিযোগ, এই ঘটনার পর সেনা পুলিশ পাঠিয়ে ছিল তাঁর বাড়িতে। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে উলটে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকেই হেনস্তা করে, ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য হুমকিও দেয়। এর পরেই মূল অভিযুক্ত-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী।