পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ইছাপুর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সুনীল মুর্মু পেশায় রাজমিস্ত্রী। ১৫ বছর বয়স থেকে এই কাজ করছেন তিনি। সেই তাকেই এবারের পুরভোটে টিকিট দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। জিতে কাউন্সিলরও হয়েছেন তিনি। কিন্তু কাউন্সিলর হওয়ার পর এখব আর কাজ পাবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন তিনি। সুনীলের আশঙ্কা, কাউন্সিলর হয়ে গিয়েছেন বলে এলাকার লোকে হয়তো কাজ দিতে ইতস্তত করবেন।
সুনীলের স্ত্রী অঞ্জলি মুর্মু জমিতে কাজ করেন। দুই মেয়ে রয়েছে তাঁদের। মেমারি বাসস্ট্যান্ডের তৃণমূলের বাসকর্মী ইউনিয়ন অফিসে বসে বছর সাঁইত্রিশের সুনীল বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আর ভিনরাজ্যে কাজে যাইনি। মেমারিতেই পাড়া, আশপাশে রাজমিস্ত্রির কাজ করি। প্রথম থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম। দল জনজাতি হিসাবে প্রার্থী করায় আপত্তি করিনি। কিন্তু জেতার পরে নানা রকম চিন্তা মাথায় আসছে। কিছুটা ফাঁপরে পড়ে গিয়েছি।’
তাঁর বক্তব্য, ‘কাউন্সিলর হওয়ার পরে পাড়ার লোকজন আর নির্মাণ করতে ডাকবেন কি না, সেটাই ভাবছি। আবার হয়তো দেখা যাবে, আমার হাতে যে পাঁচিল তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই কোনও কারণে বিতর্ক বাধল। তখন লোকে বলবে, ওই পাঁচিল কাউন্সিলরই তৈরি করেছে।’ ভোটের কয়েক দিন কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সুনীল। তবে জেতার পরের দিনই মেমারি শহরের বাইরে দুর্গাডাঙায় কাজ করতে ছুটে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘ওয়ার্ডের মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি। কাজ খুঁজতে তো ভিনরাজ্যে যেতে পারব না। তাই শহরের বাইরে কাজ করছি।’