বিধানসভা বিক্ষোভের জায়গা নয়। গঠনমূলক আলোচনার জায়গা। রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির আচরণ দেখে এবার এমনই মন্তব্য করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাজেট বক্তৃতা শুরু হওয়ার মিনিট পনেরো পরেই অধিবেশন কক্ষে হই-হট্টোগোল শুরু করে বিজেপি। বাজেট বক্তৃতায় বাধা দেয় বিজেপি বিধায়করা। এরপর ওয়াকআউট করে অধিবেশন কক্ষের বাইরে বেরিয়ে যান তাঁরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অধিবেশন কক্ষে বিজেপির এই বিক্ষোভের বিষয়টিরই তীব্র নিন্দা করেছেন বিমান। বাজেট শেষে তিনি বলেন, ‘এটা অনভিপ্রেত। না হলেই ভাল হত। সংসদীয় গণতন্ত্রের শিষ্ঠাচার বিরুদ্ধ। যারা করলেন, আমার মনে হয় তাঁরা ঠিক করলেন না।’
উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনে রাজ্যপালের বক্তৃতা ঘিরেও তুলকালাম কাণ্ড বেঁধেছিল বিধানসভায়। এদিন দুপুর দুটো দশ মিনিট নাগাদ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ঠিক সেই সময়েই প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। হট্টগোলের মধ্যেই বাজের বক্তৃতা চালিয়ে যেতে থাকেন সদ্য অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী। এরপর বাজেট পেশের মাঝেই বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি পরিষদীয় দল। বাইরে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাজেট নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। গোটা ঘটনায় বিরক্ত অধ্যক্ষের বক্তব্য, ‘বাজেট বক্তৃতা দিচ্ছেন মাননীয় মন্ত্রী। বিশেষ করে একজন মহিলা অর্থমন্ত্রী। তাঁকে এভাবে আটকানোর চেষ্টা করাটা সঠিক কাজ নয়। পলিটিক্যাল এজেন্ডা যা আছে আছে, কিন্তু বিধানসভা বিক্ষোভের জায়গা নয়। বিধানসভা গঠনমূলক আলোচনার জায়গা। কোনও বক্তব্য থাকলে বাজেটের পর বলতে পারত। বিক্ষোভ দেখানোর কোনও কারণ ছিল না।’
