রাত সওয়া ১১টা পর্যন্তও নৈহাটির ঐকতান হলে চলছিল নাটক। তবে শেষমেশ সিপিএমের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সম্মেলন মুলতুবি করে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, নতুন জেলা কমিটির জন্য বিদায়ী সম্পাদক অফিশিয়াল প্যানেলের যে প্রস্তাব রাখেন তার পাল্টা নাম জমা পড়া শুরু হয়। ৩২ জন জেলা কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য ফ্লোর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য উঠে দাঁড়ান।
প্রস্তাবক, সমর্থক জোগাড় করে সেই ৩২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নাম জমা দেন। সূত্রের খবর এরপর রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সূর্যকান্ত মিশ্র কার্যত অনুনয় বিনয় করেন। তাতে গলে জল হয়ে ১১ জন নাম প্রত্যাহার করে নেন। বাকি ছিলেন আরও ২১ জন। এই জেলায় ৯০টির কাছাকাছি এরিয়া কমিটি। ফলে ভোটাভুটি হলে সারা রাত জাগতে হতো আলিমুদ্দিনের নেতাদের।
এবার এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলনে সম্পাদক নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা একমাত্র জেলা যেখানে কমিটির অফিশিয়াল প্যানেলের বিরুদ্ধেও নাম জমা পড়ে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে, রাজ্য নেতৃত্ব সম্মেলন মুলতুবি ঘোষণা করে দেয়। যা সিপিএমের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অনেকের মতে, ভোটাভুটি হলে অনেক বড় নেতার রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যেত। জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে এতটাই ক্ষোভ নিচুতলার। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে শেষমেশ সম্মেলন মুলতুবি করে দেন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা। রাজ্য সম্মেলনের আগে যা লজ্জাজনক বলেই মত অনেকের।
বিদায়ী জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী ৭১ জনের প্যানেল প্রস্তাব করেন। তাতে বলা হয়েছিল ৬৭ জনের নাম ও চারজনকে পরে নেওয়া হবে। এর পরেই পাল্টা নাম পড়া শুরু হয়। এ নিয়ে নৈহাটির এক নেতা বলেন, ‘তিনদিন ধরে সম্মেলন হল, প্রতিদিন ৭০০ জন করে প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক খাওয়া দাওয়া করলেন। হল ভাড়া থেকে সাজানো গোছানো খরচ তো কম নয়, এই বাজারে সব পয়সাটাই জলে গেল কমিটিই হল না।’