এবার বাংলার সরকারি হাসপাতালের রেফার নীতিতে এল বড়সড় রদবদল। যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে বেড খালি রয়েছে কি না জেনে এবার থেকে রেফার করতে হবে চিকিৎসকদের। নিউটাউনের ৮ মাসের শিশুর মৃত্যুর পর এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেফার নীতিতে এছাড়াও আরও একগুচ্ছ রদবদল করেছে স্বাস্থ্যভবন। গত শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ বাড়িতে কাজলের কৌটো গিলে ফেলে নিউ টাউনের বাসিন্দা ৮ মাস বয়সী একটি শিশুর। তাঁকে নিয়ে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে বেলা ১০টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন বাবা-মা। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে কাজলের কৌটোটি বার করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটির শরীরে অক্সিজেন সম্পৃক্ততার মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। শিশুটিকে পিআইসিইউ-তে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
প্রশ্ন ওঠে, এনআরএসে পরিকাঠামো থাকা সত্বেও শিশুর গলা থেকে কাজলের কৌটো বার করা গেল না? জানতে ৩ সদস্যের কমিটি গড়েছিল রাজ্য সরকার। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেফারের নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে স্বাস্থ্যভবন। সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে এবার থেকে কোনও রোগীকে রেফার করতে গেলে ২ চিকিৎসকের বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত তিতে হবে। রোগীকে রেফার করার আগে জানতে হবে যে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সেখানে বেড খালি রয়েছে কি না। রোগীকে পাঠানোর আগে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করতে হবে। অনলাইনে চিকিৎসকদের দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। কোন চিকিৎসক কখন দায়িত্বে রয়েছেন তা আউটডোর, এমারজেন্সি ও হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে টাঙাতে হবে। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোয় কোথায় ঘাটতি রয়েছে তা জানতে গঠন করা হবে উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
