কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। ৫ রাজ্যের নির্বাচনের সময় নগদ টাকা, মদ, মাদক, বিনামূল্যের উপহার এবং মূল্যবান ধাতুর আদানপ্রদান পরীক্ষা করার জন্য নির্বাচনী প্যানেল ফ্লাইং স্কোয়াড এবং নজরদারির জন্য বিশেষ দলও মোতায়েন করা হয়েছিল। আর তার মাধ্যমেই ফেব্রুয়ারি-মার্চে নির্বাচন হওয়া পাঁচটি রাজ্য থেকে ৮৫ লক্ষ লিটারেরও বেশি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাবেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট মদের প্রায় ৭০ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ৫৭৫.৩৯ কোটি টাকার মাদকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, যা আর্থিক মূল্যের দিক থেকে ভোটের সময় সবচেয়ে বড় বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা। পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনের সময় মোট বাজেয়াপ্ত করার পরিমাণ ১০৬১.৮৭ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ ২৯৯.৮৪ কোটি টাকার মূল্যের জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এবার সেই পরিমাণ বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ বেশি!
৮ জানুয়ারি নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুর থেকে মোট ৮৫,২৭,২২৭ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ৩৬.৭৯ কোটি টাকা মূল্যের ৫৯,৬৫,৪৯৬ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে পঞ্জাবে। উত্তরপ্রদেশে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬২.১৩ কোটি টাকার মদ, উত্তরাখণ্ডে তা ৪.৭৯ কোটি টাকা, গোয়ায় ৩.৫৭ কোটি টাকা এবং মণিপুর ৭৩ লাখ টাকা মূল্যের ৭৪,৪৯৫ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে।