বুধবার সকাল থেকেই যে ট্রেন্ড সামনে এসেছে তাতে পরিষ্কার পাঞ্জাবে এবার ক্ষমতায় আসছে আম আদমি পার্টি। এই প্রথম দিল্লীর বাইরে দ্বিতীয় কোনও রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে তারা।
প্রসঙ্গত, প্রচারে গিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ আপ নেতারা বার বার একটা কথাই বলেছেন পাঞ্জাবের জনতাকে। বিজেপি-শিরোমণিকে তাঁরা সুযোগ দিয়েছেন, কংগ্রেসকেও বিস্তর সুযোগ দিয়েছেন। এবার একবার অন্তত আপকে সুযোগ দিন কাজ করে দেখাবার জন্য। কেজরির সেই অনুরোধই রেখেছে পাঞ্জাবের জনতা। কার্যত দুই তৃতীয়াংশের থেকেও বেশি আসন পেয়ে আপ এবার প্রথমবারের জন্য পঞ্জাবের ক্ষমতায় আসতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচণের গণনা। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই আপ ঝড় বয়ে গিয়েছে পঞ্জাবের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রতিটি প্রান্তে। একই সঙ্গে সেখানে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। বিধ্বস্ত কংগ্রেসও। ধাক্কা খেয়েছে শিরোমণি অকালি দলও।
পঞ্জাবে কার্যত প্রতি ৫ কী ১০ বছর অন্তর অন্তর ক্ষমতায় বদল হয়। কার্যত কয়েক দশক ধরেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই ক্ষমতা বদলের দৌড়ে একদিকে থাকে মূলত কংগ্রেস, অন্যদিকে থাকে শিরোমণি অকালি দল ও বিজেপি জোট। কিন্তু বারবারই দুই শিবিরের দিকে এই অভিযোগ উঠেছে, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসে তা তারা পূরণ করে না। পঞ্চনদের দেশে ড্রাগের নেশা যেমন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি যুবসমাজের সামনে বেকারত্ব এক চরম অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি মাথা তুলে রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে মাটি মাফিয়ারাও। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাববাসী যে একটা বড়সড় পরিবর্তন চাইছেন সেটা কিন্তু ৫ বছর আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আপের ১২টি আসন প্রাপ্তিতে। বস্তুত পঞ্চনদের দেশে সেটাই ছিল আপের ভিত্তি গড়ে ওঠার ঘটনা। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে ২০২২-এ রাজপ্রাসাদ গড়ে দিলেন কেজরিওয়াল।