গতকালই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। এর ফলে এবার গেরুয়া শিবিরের অন্দরে প্রশ্ন উঠে গেল, এবার কি রাজ্যের শাসক শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়? মঙ্গলবার জয়প্রকাশ নজরুল মঞ্চে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর (এবং মঞ্চেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁকে দলের সহ-সভাপতি পদে নিয়োগ করা) লকেটকে নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।
যদিও লকেট নিজে তেমন কোনও সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে দলের অন্দরে বিভিন্ন বিষয়ে যে হুগলির সাংসদের ক্ষোভ রয়েছে, তা জানেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। প্রথমত, ২০১৯ সালে হুগলিতে লড়াই করে জয়ের পরেও তাঁকে কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব না দেওয়ায় লকেট ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। দলের অন্দরে সেই অনুযোগ তিনি প্রকাশও করেছিলেন।
দলের অন্য একাংশের দাবি, লকেট রাজ্যে সভাপতি হতে চান। কারণ, দলের বর্তমান পদাধিকারীদের ওপর তাঁর ‘আস্থা’ নেই। তিনি মনে করেন, এই পদাধিকারীরা দলকে রাজ্যে কোনও ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন না। এখন যেমন সুকান্ত মজুমদার, তেমনই অতীতে দিলীপ ঘোষকে নিয়েও লকেটের ‘অনুযোগ’ ছিল। ঘটনাচক্রে, দলের অন্দরে অপর মহিলা নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গেও লকেটের সম্পর্কে একটা ‘শৈত্য’ রয়েছে।
তবে লকেটের তরফে কোনও সময়েই এমন কোনও কথা প্রকাশ্যে বলা হয়নি। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলে লকেট বরাবর তা দলের অন্দরেই বলেছেন। যেমন সাম্প্রতিক বৈঠকেও বলেছেন। কিন্তু তার পরেই সোমবার দলের দুই ‘বিক্ষুব্ধ’ জয়প্রকাশ এবং রীতেশ তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন লকেট। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জয়প্রকাশ গিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে অনেকেই দুইয়ে-দুইয়ে চার করেছেন।