যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে অনেক ভারতীয় নাগরিক তথা পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনা হলেও সুমিতে এখনও অনেক পড়ুয়া আটকে রয়েছেন। তাদের নিয়ে আগেই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার কথাও জানানো হয়েছিল। সোমবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় সুমিতে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে নিরাশার কথা শোনালেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি। তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, দুই দেশের সরকারকে ভারতের তরফে অনুরোধ করার সত্ত্বেও এখনও অবধি সুমিতে আটকে থাকা ছাত্রদের মানবিকতার খাতিরে নিরাপদ করিডোরের মাধ্যমে দেশে ফেরাতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় সহ সকল নাগরিকদের নিরাপদে সেখান থেকে বের করে আনার আবেদন জানিয়েছিলাম। এখন আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে দুপক্ষকেই আমাদের আবেদন সত্ত্বেও সুমিতে আমাদের ছাত্রদের জন্য নিরাপদ করিডোরের বিষয় নিয়ে এখনও অবধি কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি’। গতকাল ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতাই মোদীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সব রকমের সাহায্য করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার পরও এখনও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না হওয়ার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। ইউক্রেনের উত্তরপূর্বের সুমি শহরে ডাক্তারি পড়ুয়া সহ ৭০০ জন ভারতীয় নাগরিক এখনও আটকে রয়েছেন।
সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানিয়েছেন, সুমিতে আটকে থাকা সব ভারতীয়দের বের করে আনতে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সোমবার ইউএনএসসি-র সভায় তিরুমূর্তি জানিয়েছেন, ভারত অবিলম্বে সব হিংসা ছেড়ে আলোচনায় বসার পক্ষে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আরও একবার দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে তাদের আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন।