রাজ্যপালের বক্তৃতা ছাড়াই তেলঙ্গানার বাজেট অধিবেশন চালু হতে চলেছে। কে চন্দ্রশেখর রাও মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হলেও বিশেষজ্ঞরা এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক মনে করছেন না।
তামিলনাড়ুর মতো তেলঙ্গানাতেও কেন্দ্রে প্রতিনিধি, রাজ্যপালের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে শাসক দলের মতভেদ সামনে এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে কেসিআর সরকারের পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তেলঙ্গানা সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি ও কংগ্রেস। তবে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা তেলঙ্গানারা বিশেষ পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করে বলছেন, এই পদক্ষেপে সাংবিধানিক ব্যবস্থায় সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে না।
আজ ৭ মার্চ তেলঙ্গানায় বাজেট অধিবেশন বসবে। ওই দিনই বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী টি হরিশ রাও। রাজ্য সরকারের বিবৃতিতে এ কথা জানানো হলেও রাজ্যপালের বক্তৃতা প্রসঙ্গ উল্লেখ নেই। প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ও সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমার এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘কিছুদিন আগেই কেসিআর দেশের সংবিধান নতুন করে লেখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ফলে এ রাজ্যে কোনও আইনের শাসন, ঐতিহ্যের প্রতি আনুগত্য যে থাকবে না— বোঝাই যাচ্ছে। শুধু নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করে যাওয়া। রাজ্যপালের ভাষণ (বাজেট অধিবেশনের শুরুতে) বাদ দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।’ রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দর্যরাজনের বক্তৃতা এড়ানোয় কেসিআর সরকারের সমালোচনা করছেন বিজেপির শীর্যস্থানীয় অনেক নেতাই।
