স্বাধীন নয়। ‘আংশিক স্বাধীন’। হ্যাঁ, এমনই শ্রেণীভুক্ত করা হল ভারতকে। মার্কিন সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত এনজিও ফ্রিডম হাউজের বার্ষিক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। ‘ফ্রিডম হাউজ’ প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতার রিপোর্ট বেশ করে।
‘বিশ্বের স্বাধীনতা ২০২২ – বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের সম্প্রসারণ’ -শীর্ষক প্রতিবেদনে এই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ব্রাজিল থেকে ভারত, নেতারা ‘বিভিন্ন গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে বা হুমকি দিয়েছে। এর ফলে মূল্যবোধ বিনষ্ট হয়েছে। এই দেশগুলিতে গণতন্ত্রের মূল্যবোধের অবনমন, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও গনতন্ত্রের শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
ভারতের ক্ষেত্রে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দেশটি ‘রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার দিক থেকে একাধিক ধাক্কা খেয়েছে। অন্য ধরনের ভাবনার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। কারণ বিরোধীদের গ্রেপ্তার এবং নজরদারির মতো ঘটনা ঘটেছে।’
২০২২-এর রিপোর্টের বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি কেন্দ্র সরকার। যদিও ২০২১-এর রিপোর্টের সময়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। কী বলেছিল মোদী সরকার? এর আগে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতকে ‘স্বাধীন’ হিসাবেই চিহ্নিত করত ফ্রিডম হাউজ। কিন্তু ২০২১ সালে ‘আংশিক স্বাধীন’ তকমা দেওয়া হয়। সেই সময়ে এই তকমা নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছিল। মোদী সরকারের তুলোধনাও করেছিলেন সমালোচকরা। যদিও সরকার ২০২১-এর রিপোর্ট প্রত্যাখান করে। বলা হয় এটি ভিত্তিহীন। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, ‘ভারতের বহু রাজ্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত। তবুও এখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠ ও কোনওরকম প্রভাবহীন। এটিই একটি সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ।’