ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আগামী এক বছরের রূপরেখা তৈরি করল নবান্ন। কিভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা হবে বা এরজন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সমস্ত বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে থাকছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ডেঙ্গু নিধনের কাজ করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
এছাড়াও, মশার লার্ভা নিধনে বিভিন্ন নিকাশি এবং নালাতে গাপ্পি মাছ ছাড়ার জন্য মৎস্য দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই মাছ ডেঙ্গুর লার্ভা খেয়ে তা নষ্ট করে দেয়। ফলে ডেঙ্গু নিধনে এই মাছের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য মৎস্য দফতরকে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নবান্ন। পাশাপশি, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, কৃষি দফতর, নারী ও শিশু কল্যাণ সদর দফতরকে ডেঙ্গু নিধনের জন্য কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু মোকাবেলায় এক ১ লক্ষ ১৩ হাজার ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মী অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে শহরে কাজ করবে ৫৫,৮২২ জন কর্মী এবং গ্রামে ৫৭ হাজার ৪৫৭ কর্মী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। ডেঙ্গুর প্রবণতা অনুযায়ী দুটি ভাগে ভাগ করা হবে গোটা রাজ্যকে। মারাত্মক ডেঙ্গু প্রবণ এলাকা এবং মাঝারি ডেঙ্গু প্রবণ এলাকা এই দুটি ভাগে ভাগ করা হবে।
ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করার পাশাপাশি মশার লার্ভা নিধনে কীটনাশক প্রয়োগ করবেন। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, এরজন্য ৩০০টি বাড়ির দায়িত্বে থাকবেন তিনজন করে ভেক্টর কর্মী। যেহেতু আগস্ট এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর প্রবণতা বেশি তাই এই ২ মাসে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জল জমে রয়েছে কিনা বা মশার লার্ভা রয়েছে কিনা তার খোঁজ খবর নিতে হবে ভেক্টর কর্মীদের। ডেঙ্গুর লার্ভা নিধনের জন্য কীটনাশক শেষ হয়ে গেলে অ্যাপেই তা জানাতে হবে।