আইএএস অফিসারদের বদলি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল বা ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারদের উপর থাবা বসাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ জন্য ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারদের সিআরপি, সিআইএসএফ, বিএসএফের মতো কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের চলতি বিধি বদল করতে চাইছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে থাকা কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রক।
সর্বভারতীয় প্রশাসনিক অফিসার বা আইএএসদের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রকে যোগদানের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবে কেন্দ্রই। চলতি ব্যবস্থায় বলা আছে আইএএস ও আইপিএস অফিসারদের রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ডেপুটেশনে যোগদানের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট অফিসার এবং রাজ্য সরকারের সম্মতি নিতে হবে। এর মধ্যেই বিধি বদল করছে দিল্লী।
চলতি ব্যবস্থা হল, কোনও রাজ্যের ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার অন্তত ১৪ বছর চাকরি করে থাকলে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের জন্য বিবেচিত হন। বাছাই পর্বে তাঁর চাকরি জীবনের রেকর্ড এবং ভিজিলেন্স রিপোর্ট বিচার বিশ্লেষণ করে পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট বোর্ড। তারা সবুজ সংকেত দিলে তবেই একজন অফিসার সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের জন্য বিবেচিত হন। সম্প্রতি রাজ্যগুলিকে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট বোর্ডের কাছে আর হাজির হতে হবে না ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারদের। রাজ্যে ডিআইজি পদমর্যাদা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের জন্য বিবেচিত হবেন।
এক পুলিশকর্তার কথায়, নয়া নির্দেশিকায় সব রাজ্যই চিন্তিত। কারণ বিধি বদল করে রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া দিল্লি অফিসার তুলে নিয়ে সব রাজ্যই বিপাকে পড়বে। যে কারণে আইএএস অফিসারদের সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে যোগদান সংক্রান্ত দিল্লির নির্দেশিকায় আপত্তি তোলে বিজেপি শাসিত রাজ্যও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রবীণ বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান তাঁর আপত্তির কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন বলে খবর। ওই পুলিশ কর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্যার কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু বর্তমান সরকার সমাধান সূত্র হিসাবে একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। এরফলে রাজ্যগুলিকেও প্রশাসন চালাতে সমস্যায় পড়তে হবে।