বুধবার ভোট গণনার শুরু থেকেই রাজ্যের জেলায় জেলায় জয়জয়কার তৃণমূলের। এবার সবুজ ঝড়ে ভেঙে পড়ল এসইউসিআই-এর দূর্গ। অধরা সাফল্যও এল তৃণমূলের ঝুলিতে। এই প্রথমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর পুরসভায় এককভাবে বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। এতদিন জেলার অন্য পুরবোর্ডগুলি তৃণমূলের দখলে থাকলেও, একমাত্র বিচ্ছিন্ন ছিল জয়নগর। মূলত কংগ্রেস ও এসইউসিআই-এর শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত ছিল জয়নগর। এবার সেই ‘গড়ে’র দখল নিল ঘাসফুল শিবির।
জয়নগর-মজিলপুর পুরসভায় মোট ১৪টি ওয়ার্ড। তারমধ্যে এবার ১২টি ওয়ার্ডেই জয় হাসিল করে নিয়েছে তৃণমূল। মাত্র ১টি করে ওয়ার্ড জিতেছে কংগ্রেস ও এসইউসিআই। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালে জয়নগরে পুরবোর্ড গঠনে অংশীদার ছিল তৃণমূল। সেইবার বোর্ড গঠন করেছিল এসইউসিআই-তৃণমূল জোট। এরপর ২০১৫ সালে জয়নগরে বোর্ড গঠন করে বিরোধী জোট। যে জোটে ছিল কংগ্রেস, এসইউসিআই, বাম ও নির্দল। এবার সেখানে প্রথমবারের জন্য এককভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, জয়নগর পুরসভায় তৃণমূলের এই জয় ও এককভাবে বোর্ড গঠন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর আগে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে লোকসভা কি বিধানসভা ভোটে যখন তৃণমূল বিপুল সাফল্য পেয়েছে, তখনও জয়নগর পুরবোর্ড একমাত্র বিরোধী বোর্ড হিসেবে নিজের অস্ত্বিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। পুরবোর্ড দখল প্রসঙ্গে এর আগে জয়নগরে কখনও খাতা খুলতে পারেনি শাসকদল। এবার সেই জয়নগর দখলে এল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুরভোটে এবার বিশেষ নজর ছিল জয়নগরে। পুরভোটে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন ৪ জন। অরূপ বিশ্বাস, সওকত মোল্লা, কুণাল ঘোষ ও শুভাশিষ চক্রবর্তী। তারমধ্যে সওকত মোল্লা গত ২০ দিন ধরে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন জয়নগরের দিকে। এদিন জয়ের পর তিনি বলেন, ‘এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয়। স্বাধীনতার পর এই প্রথম জয়নগরে এককভাবে বোর্ড গঠন করছে তৃণমূল। তাই আমার কাছে এটা সেরা জয়।’