সবে পেরিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। তার মধ্যেই সমস্ত প্রতিরোধ চূর্ণ করে কিয়েভে ঢুকে পড়ল রুশ বাহিনী। রাস্তায়-রাস্তায় চলছে প্রবল সংঘর্ষ। সবমিলিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে ইউক্রেনের সর্বত্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কৃষ্ণসাগরে রোমানিয়ার একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে মস্কো। গত কয়েক ঘণ্টা ধরে ইউক্রেনের রাজধানী থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। সেখান থেকেই কিয়েভে চলছিল লাগাতার বিমান, ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা। পালটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ইউক্রেনও। খবর মিলছিল, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব প্রান্ত থেকে কিয়েভে ঢুকছে রুশ বাহিনী। এর পরই পুতিন বাহিনীকে ঠেকাতে তেতেরিভ নদীর সেতুও উড়িয়ে দেয় ইউক্রেন। উড়িয়ে দেওয়া হয় রাশিয়াকর দু’টি ট্যাঙ্কও। গুলি করে নামানো হয় রুশ ক্ষেপণাস্ত্রও। তবু শেষরক্ষা হল না। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, কিয়েভে রাশিয়ার সেনার একটি দল ঢুকে পড়েছে। একটি দোতলা বাড়িতে লুকিয়ে গুলি বর্ষণ করছে তারা।
এপ্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিয়েভের রাস্তার গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি আদপে ইউক্রেন সেনা। রাস্তার এদিক সেদিকে একাধিক জখম ব্যক্তিকে পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। তাদের সাহায্যার্থে চিকিৎসকদের ছুটোছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। সরকারি কোয়ার্টারের সামনে গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে। তবে কিয়েভ দখল প্রসঙ্গে ইউক্রেনের তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। জানা গিয়েছে, সমুদ্র পথে যাতে বাহিনী ঢুকতে না পারে তাই ল্যান্ডমাইন বসানো হয়েছে উপকূল বরাবর। এদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই ইউক্রেনও। সূত্রের খবর, রাশিয়া সীমান্তে ঢুকে পড়েছে কিয়েভ বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের রাশিয়া গ্রাঁ প্রি বাতিল করেছে মস্কো সরকার।