শেষরক্ষা আর হল না! ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই টানাপোড়নে দিন কাটছে শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি পরিবারের। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সুদূর ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। ইতিমধ্যে যুদ্ধ ঘোষণার পরে বেশ কয়েকজন পরিবারের কাছে ফিরেও এসেছে। তবে এখনও আটকে থাকা পড়ুয়াদের সংখ্যাটা রয়েছে অনেকটাই৷ আর তাতেই এখন আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে সেই পড়ুয়াদের পরিবারগুলির।
অনন্যা মৈত্রের মা রাজশ্রী মৈত্র বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই বারবার মেয়েকে বাড়ি ফেরত আসার জন্য বলছিলাম। কিন্তু এখনও অনেক পড়ুয়ারা ওখানে আটকে রয়েছে। সরকার যেন তাদের নিরাপদে বাড়ি ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে।’
ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে একজন বিতান বসু। বৃহস্পতিবার রাতেই ইউক্রেন থেকে ফিরে এসেছেন শিলিগুড়ির বিতান বসু৷ ইউক্রেনের সানিভিস্ট অঞ্চলের বুকোভিয়ান স্টেট মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া তিনি৷ শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন হিমালয় কন্যা আবাসনের বাসিন্দা বিতান।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ওখানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকই ছিল। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে এবং রাতারাতি সেখানে কার্ফু জারি হয়ে যায়। আমরা ভারতীয় দূতাবাসের সেরকম কোনও সাহায্য পাইনি। যে ক’জন ফেরত আসতে পেরেছি সবটাই ভারত সরকারের সহযোগিতায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি সেখানকার এখন খারাপের দিকে। আমি বাড়ি ফিরে এসেছি ঠিকই, কিন্তু আমার মত বহু পড়ুয়া সেখানে আটকে রয়েছেন। তাঁরাও সুস্থভাবে বাড়ি ফিরুক তাই চাই।’
বিতানের পাশাপাশি আরও দুই সহপাঠী শিলিগুড়ির বাবুপাড়া বাসিন্দা অনন্যা মৈত্র এবং শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা সুকৃতি দেবও এদিন ফিরে এসেছেন দেশে। যদিও বাকি দুই সহপাঠী দিল্লীতে থেকে গিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। তাদের শিলিগুড়ি ফিরে আসার কথা।