হাই কোর্টের হস্তক্ষেপের পরই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে আমতা। অবশেষে সিটকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত ছাত্রনেতার বাবা সালাম খান। এদিকে এদিন ফের ভবানী ভবনে তলব করা হল আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী-সহ মোট ১০ জনকে। তদন্তের স্বার্থে তলব করা হয়েছে আমতার এক টোটো চালককে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ছাত্র নেতা আনিস খানের। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ থেকেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা বাংলা। তদন্তের স্বার্থে সিট গঠন করা হলেও প্রথমে তাঁদের তদন্তে বাধা দেয় মৃতের পরিবার। বারবার আনিসের বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে হয় অফিসারদের। গ্রেফতার করা হয় এক হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ঘটনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে আনিস খানের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা জজের তত্ত্বাবধানেই কবর থেকে দেহ তোলা হবে এবং করা হবে ময়নাতদন্ত। নমুনা ভিসেরা পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। আনিসের মোবাইল ফোনটি জেলা জজের মাধ্যমে সিটের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশ মেনে সিটকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনিস খানের পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতেই সিটের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ছাত্রনেতার বাবা সালাম খান ও পরিবারের অন্যরা। রাতেই কবরস্থানে বসানো হয়েছে আলো, সিসিটিভি। আজ অর্থাৎ শুক্রবার টিআই প্যারেড করা হবে। সেখানে যাবেন মৃতের বাবা। এদিকে অপসারণের পর আজ ফের আমতা থানার তৎকালীন ওসিকে তলব করা হয়েছে ভবানী ভবনে।