এবার শিক্ষা, জীবিকা এবং কল্যাণ প্রকল্পগুলিতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবি তুলে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়ে ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তির বাজার এলাকায়৷ তৃণমূল নেতা দীপঙ্কর বর্ধন-সহ চার জন আহত হয়েছেন। অভিযোগের তীর বিজেপির দিকেই।
প্রসঙ্গত, বিজেপি সরকার পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ তুলে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস বুধবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের কাছে জবাবদিহির দাবিতে রাজ্য জুড়ে একটি গণ ডেপুটেশন সমাবেশের আয়োজন করে। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক, ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য প্রকাশ দাস এবং অন্যান্য সিনিয়র দলের নেতারা সিপাহিজলা, খোয়াই, উত্তর ত্রিপুরা, ধলাই এবং গোমতি-সহ একাধিক জেলায় আয়োজিত সমাবেশের পাশাপাশি আগরতলায় গণ ডেপুটেশন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সুবল ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের এসসি নেতা প্রকাশ দাসের নেতৃত্বে, আমরা মহকুমা অফিসে একটি গণ ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। আমাদের এসসি সেলের এই উদ্যোগটি প্রয়োজনীয় ছিল কারণ বিজেপি সরকার ২০১৮ সাল থেকে এসসি সম্প্রদায়ের লোকদের নির্যাতন করেছে। আমরা একটি ভাল জীবন চাই আমাদের রাজ্যের এসসি সম্প্রদায়ের জন্য। যদি সরকার এই ডেপুটেশনে সাড়া না দেয়, তবে আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব।’
ডেপুটেশনে বলা হয়েছে, ‘এসসি সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং যারা জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি করছেন তাদের বরখাস্ত করতে হবে’। তৃণমূলের তরফে বিপ্লব দেব সরকারকে জাল শংসাপত্রগুলি পরীক্ষা করার জন্য একটি দক্ষ প্রক্রিয়ায় তৈরির কথা বলা হয়েছে। ডেপুটেশনে আরও বলা আছে, ‘একটি বিশেষ ড্রাইভের মাধ্যমে, ১০০-পয়েন্ট রোস্টারের ভিত্তিতে নিয়োগ এবং পদোন্নতির মাধ্যমে ব্যাকলগ-সহ সমস্ত সংরক্ষিত শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ করা উচিত। শূন্য পদগুলি অসংরক্ষিত বিভাগের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। যোগ্য এসসি প্রার্থীদের নিয়োগ করা দরকার। কর্মচারীদের এবং প্রতিটি অফিসে কোনও বঞ্চনা এবং বদলি হওয়া উচিত নয়।’ ডেপুটেশনে এ-ও বলা হয়েছে, ‘এসসি সম্প্রদায়ের নারীদের ক্ষমতায়নের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’