বিধানসভা ভোটের আবহে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন মায়াবতী। বিএসপি ফের যদি উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠন করে তবে যারা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র গিয়েছেন তাদের ফেরত ডেকে চাকরি দেওয়া হবে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী! মানুষ চাকরির অভাবে রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এবং এই অভিবাসনের জন্য বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলিকে দায়ী করেই কটাক্ষ করেছেন মায়াবতী। এদিন প্রয়াগপুর এলাকায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে মায়াবতী অভিযোগ করেন, “সমাজবাদী পার্টি, বিজেপি এবং কংগ্রেস আমাদের মহাপুরুষদের কখনই সম্মান করেনি বা আমাদের সমাজের মানুষদের কোনও উপকার করেনি।” মায়াবতীর অভিযোগ, কংগ্রেস দলিত ও আদিবাসীদের স্বার্থ নিয়ে খেলছে এবং দলের ভুল নীতির কারণেই কেন্দ্র হোক বা রাজ্য কোথাওই আর ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস।
পাশাপাশি, মায়াবতীর অভিযোগ, কংগ্রেস কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার সময়ও “দলিত, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর লড়াইয়ের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস বাবা সাহেবকে (আম্বেদকর) ভারতরত্ন দেয়নি এবং কাঁসিরামের মৃত্যুতে জাতীয় শোকও ঘোষণা করেনি। কংগ্রেস মণ্ডল কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়নও করেনি।” সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মায়াবতী জানান, ২০১২-২০১২ সালে অখিলেশ যাদব সরকার দাঙ্গা ও গুন্ডাদের আধিপত্য বৃদ্ধি করেছে। “সমাজবাদী পার্টি একটি নির্দিষ্ট এলাকা এবং নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে। সমাজবাদী পার্টির শাসনামলে দাঙ্গার জন্য পরিস্থিতি সবসময়ই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। ওরা আমাদের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামাঙ্কিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জেলাগুলির নামও বদলে দিয়েছে,”বলেন বিএসপি প্রধান।
এছাড়া বিজেপিকে ‘বর্ণবাদী’ বলে আক্রমণ কনরে মায়াবতী। অভিযোগ করেছেন, বিজেপি আরএসএস-এর নির্দেশে চলে৷ “বিজেপি দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া জনজাতি এবং মুসলমানদের জন্য পরিচালিত স্কিমগুলি বন্ধ করে দিয়েছে৷ বিজেপির শাসনে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না৷ মুসলমানরা ভয় পাচ্ছেন৷ এমনকী ব্রাহ্মণরাও কষ্টে রয়েছেন,”বলেন মায়াবতী। তিনি জানান, তাঁর দল চারবার উত্তরপ্রদেশ শাসন করেছে এবং মানুষদের চাকরি দিয়েছে। “এখন চাকরির অভাবে মাইগ্রেশন হচ্ছে। আমাদের সরকার এলে সবাইকে আবার ফিরিয়ে জনগণের জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে,” প্রতিশ্রুতি মায়াবতীর। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে গুণ্ডা এবং মাফিয়ারা জেলে থাকবে। কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলাগুলির তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সাত দফার নির্বাচনের পঞ্চম পর্বে বাহরাইচে ভোট হবে আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি।