শুভেন্দু অধিকারী মানসিক ভারসাম্যহীন। কাঁথিতে পুরসভা প্রচারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন। একটি কর্মীসভা থেকে কুনাল ঘোষ বলেন, ‘আমি কাঁথিতে কর্মীসভা করতে আসছি শুনে শুভেন্দু অধিকারীর শারীরিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমনিতে তো একটু অ্যাবনর্মাল’।
অতীতে শুভেন্দুকে ‘রাজনৈতিক বেজন্মা’ বলেছিলেন কুণাল৷ যার জেরে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু৷ আগামীকাল মঙ্গলবার এবিষয়ে কাঁথি আদালতে হাজিরা দিতে হবে কুণাল ঘোষকে৷ ভরা সভায় সেকথা জানিয়ে কুণালের দাবি, ‘শিশিরদা বয়সে বড়, আমি শ্রদ্ধা করি। শুভেন্দুর মা গায়েত্রীদেবী সুস্থ থাকুক কামনা করি। তারপরেও বলব, শুভেন্দু রাজনৈতিক বেজন্মা।’
কেন একথা বলছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কুণাল৷ অভিযোগ করেছেন, ‘ যে তৃণমূল থেকে সবকিছু নেওয়ার পরও প্রকাশ্যে বলে ২০১৪ থেকে আমি অমিত শাহকে প্রণাম করে বিজেপির প্রতি দুর্বল, সে রাজনৈতিক বেজন্মা নয় তো কি? এতদিন সভায় বলেছি, কাল কোর্টি গিয়েও বলব, শুভেন্দু রাজনৈতিক বেজন্মা৷ যা বলেছি, বেশ করেছি৷ ১০০বার বলব’!
তাঁর যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে শুভেন্দুর লোকজন৷ এমন প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কুণালের পাল্টা হুঙ্কার, ‘আপনি গলি মে কুত্তা ভি শের হ্যায়৷ তবে ও সব আমাকে চমকে লাভ নেই৷ থাকে তো কলকাতায় আমার বাড়ি থেকে চারটে বাড়ি পরে৷ পুরো বাড়িতে এমন করে চোর, দালাল লিখে দেব যে নিজের নাম লেখার জায়গা পাবে না!’ কুণালের আনা অভিযোগ বা হুঙ্কার প্রসঙ্গে শুভেন্দুর অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ তবে কুণাল ঘোষের মন্তব্যকে ঘিরে কাঁথির রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে৷