একুশের ভোটে ভরাডুবির পর একের পর এক উপনির্বাচন, পুরভোটেও হারের মুখ দেখতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তাই ১০৮টি পুরনিগমের ভোটের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবার টাকা বিলির পন্থা নিতে মরিয়া বিজেপি! সম্প্রতি গীতা হাতে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাচ্ছেন পদ্ম প্রার্থীরা। সেই গীতার পাতার আড়ালে থাকতে পারে একটি ২ হাজারের নোট বা ৫০০ টাকার ৪টি নোট! পুরভোটের আগে এ নিয়ে সতর্ক করলেন করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
সোমবার তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১০ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন মন্ত্রী। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রার্থসারথী মাইতির প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, বিজেপি এখন রামকে ছেড়ে দিয়েছে। গীতা নিয়ে প্রচারে যাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে গীতা স্পর্শ করিয়ে হিন্দুত্বরক্ষায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে। এরপরই মন্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ সংযোজন, ‘আমাদের কিন্তু সন্দেহ অন্য জায়গায়। বিজেপির পার্টিফান্ড হচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকার। ওই বিরাট টাকার কিছু অংশ তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ভোটেও খরচ হবে। তাই গীতার পাতায় ২ হাজার কিংবা ৫০০ টাকার ৪ টি নোট যাচ্ছে কিনা তা দেখে নেবেন।’
শাপাশি স্থানীয় ভোটারদেরও সতর্ক করতে মন্ত্রী বলেন, ‘খুব সাবধান! বিজেপির কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। টাকা দিয়ে এখানকার মানুষকে কেনা যাবে না। তাই ওদের গীতা প্রত্যাহার করুন। পুরসভার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৃণমূলের হাত শক্ত করুন।’ সদ্য সমাপ্ত ৪ পুরসভার ভোট সহ রাজ্যে পর পর নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় বিজেপি এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথা বলছেন ওঁদের নেতারা।’
এ প্রসঙ্গে নাম না করেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন তিনি। বলেন, ‘উনি নিজেকে অবিসংবাদিত নেতা মনে করছেন। তিনি যেখানেই যাবেন ভাল করে ফুল ফুটিয়ে দেবেন! কিন্তু পদ্মবনে তাঁর পা পড়ার পর থেকেই পদ্ম শুকনো হতে শুরু করেছে। সবেতেই তাঁর আমিত্বের প্রকাশ। এটা-ওটা-সেটা, সব নাকি তিনি করেছেন। ওঁকে আমিত্ব রোগে পেয়েছে। আমিত্বে ভুগতে দিন। তাতে তৃপ্তি হয় হোক। সেই তৃপ্তি নিয়ে ওঁ থাকুন।’ তাম্রলিপ্ত পৌরসভাল নিয়ে সৌমেনের ভবিষ্যদ্বাণী, ‘তাম্রলিপ্ত পৌরসভাতেও বিজেপির জায়গা নেই। ২০ টি ওয়ার্ডেই জিতবে তৃণমূল।’