আসন্ন বালিগঞ্জ ও আসানসোল উপনির্বাচনের সঙ্গেই হোক মানিকতলার উপনির্বাচন। এবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিতে চলেচে তৃণমূল। রবিবার প্রয়াত হয়েছেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তাই তাঁর মৃত্যুতে শূন্য হয়েছে মানিকতলা বিধানসভা আসনটি। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শূন্য হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা। আর আসানসোল লোকসভা থেকে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় পদত্যাগ করায় সেখানেও উপনির্বাচন হবে। ২৭শে অক্টোবর পদত্যাগ করেন তিনি। আর সুব্রতবাবু প্রয়াত হন ৪ঠা নভেম্বর। তাই ছ’মাসের মধ্যে এই কেন্দ্রগুলোতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। যে হেতু সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন সাধন। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন মানিকতলা বাদ রেখেই উপনির্বাচন করাতে পারে বালিগঞ্জ ও আসানসোলে। তাই আগেভাগে চিঠি লিখে কমিশনের কাছে মানিকতলা ভোটের জন্য আবেদন জানিয়ে রাখতে পারে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, রবিবার ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধনের মৃত্যুর কারণে মানিকতলাতেও ভোট হবে। তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছেন বালিগঞ্জ ও আসানসোলের সঙ্গেই হোক মানিকতলার উপনির্বাচন। তাই তাঁরা শীঘ্রই এ বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিতে চলেছে। সেই চিঠিতে তিন কেন্দ্রেই একসঙ্গে উপনির্বাচন করার আবেদন জানানো হবে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “রাজ্যে যখন দু’টি উপনির্বাচন হবে, তখন আরও একটি উপনির্বাচন হতেই পারে। আমরা সেই মর্মে আবেদন করব। এ বিষয়ে দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেই পদক্ষেপ করা হবে।” পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন শেষ হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শূন্য পড়ে থাকার লোকসভা ও বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন। সেই পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে তাঁরা। তাই আগে থেকেই এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে নিজেদের অবস্থান কমিশনকে জানাতে চায় বাংলার শাসকদল। রাজ্যের এক বর্ষীয়ান মন্ত্রীর কথায়, “উপনির্বাচন করতে যে যে পরিকাঠামো এবং সহযোগিতার প্রয়োজন তা আমরা সব কিছুই দিতে রাজি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। আশাকরি দলীয় ভাবে যে আবেদন কমিশনকে আমরা জানাব তা যথাযথ ভাবে বিবেচনা করবেন তারা।”
