বেশ কিছুদিন ধরেই হিজাব বিতর্ক নিয়ে উত্তাল বিজেপি শাসিত কর্ণাটক। যার আঁচ এখন কর্ণাটকের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়েই। এবার হিজাব বিতর্কে নয়া মোড়। সম্প্রতি কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে মামলার শুনানি শেষ না হওয়া অবধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় ধর্মীয় পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই নির্দেশ বাতিল করে দিল মহিশূরের একটি বেসরকারি কলেজ। জানা গিয়েছে, কলেজের পড়ুয়াদের হিজাব পরে আসার জন্যই হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে অমান্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই কলেজ। পড়ুয়ারা যাতে ক্লাসে যোগ দিতে পারে, তার জন্য ইউনিফর্মের নিয়ম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে পড়ুয়ারা হিজাব বা অন্য কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে আসতে পারবে বলেই জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলেজের চারজন পড়ুয়া হিজাব পরে আসতে, তাঁদের কলেজে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়। শেষ অবধি কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পড়ুয়াদের শিক্ষার কথা ভেবেই শেষ অবধি ইউনিফর্মের নিয়ম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পড়ুয়াদের ইচ্ছামতো পোশাক পরার অনুমতিও দেওয়া হয় না। এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিশূরের ডিডিপিইউ ডিকে শ্রীনিবাস মূর্তি বলেন, ‘হিজাব ছাড়া ক্লাসে ঢোকার নিয়ম চালু করার পরই চারজন পড়ুয়া ক্লাস করতে অস্বীকার করেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও তাদের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছিল। তাই আজ আমি কলেজে যাই এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলি। এরইমধ্যে, কলেজের তরফে জানানো হয় যে তারা ইউনিফর্মের নিয়ম বাতিল করছে পড়ুয়ারা ক্লাসে যোগ দেয়।’