সমীর ওয়াংখেড়েকে নিয়ে ফের শোরগোল সংবাদমাধ্যমে। সূত্র অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। থানের কোপারি থানায় সমীরের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআর করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্য আবগারি দপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে এই জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দাবি, সরকারি নথি আদায়ের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের বয়স গোপন করেছিলেন সমীর। প্রশাসনকে জেনেশুনে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে জালিয়াতির অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, যে ঘটনার কথা ওই এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, তা এখনকার নয়। ঘটনাটি ঘটে প্রায় ২৫- ২৬ বছর আগে। সূত্রের দাবি, সমীরের বয়স ১৮ বছর হয়নি। অথচ সেই সময়েই একটি হোটেলের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় সেই সময় সেই আবেদন তাঁর করা কথা নয়। কিন্তু, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি সেই কাজ করেছেন। এমনকী, লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নিজের বয়স ভাঁড়িয়েছেন তিনি। আবগারি দফতরের অভিযোগ, সেই সময় নিজেকে প্রাপ্তবয়স্ক দাবি করে নথি পেশ করেছিলেন সমীর। স্ট্যাম্প পেপারে একটি হোটেলের চুক্তিও করেছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রের থানেতে ছিল সেই সদগুরু হোটেল।
উল্লেখ্য, গত বছর হঠাৎই সমীর ওয়াংখেড়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন। মুম্বই উপকূলে একটি বিলাসবহু প্রমোদতরী থেকে পাকড়াও করা হয় বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানকে। মাদক সেবন, বেআইনিভাবে মাদক রাখার অভিযোগ পরে গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। পরে এই ঘটনার জল গড়ায় বহু দূর। নাম জড়ায় বলিউডের একাধিক অভিনেত্রীর। এমনকী, এর সঙ্গে মাদক চোরাচালানের কারবারিদেরও যোগাযোগ রয়েছে বলে নানা মহলে দাবি উঠতে শুরু করে। আরিয়ানের গ্রেপ্তারি-সহ গোটা ঘটনা যাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, তিনি এই সমীর ওয়াংখেড়ে।
যদিও এরপর সমীরকে নিয়েও বিভিন্ন বিতর্ক শুরু হয়। কখনও তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার সেলেবদের উপর নজরদারির অভিযোগ ওঠে, কখনও আবার আতসকাচের নীচে চলে আসে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। এমনকী, একটা সময় সমীরের ধর্মীয় পরিচয়, তাঁর বিবাহিত জীবন, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক-সহ নানা বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতে শুরু করে। জানা যায়, আরিয়ানের গ্রেফতারির বহু আগেই শাহরুখ খানকে একবার আটকে ছিলেন এই সমীর ওয়াংখেড়ে। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বিখ্যাতদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগও উঠেছে।